• প্রেমিকার তৃতীয় প্রেমে প্রবল আপত্তি, দুই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় জনকে সরিয়ে দিলেন মহিলা!
    প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: দু’জনের সঙ্গে মাখোমাখো সম্পর্ক! তার মধ্যে প্রবেশ তৃতীয় ব্যক্তির। প্রেমিকার নতুন ওই সম্পর্কে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় প্রেমিক। কিন্তু নতুন প্রেমকে হারাতে চাননি মহিলা। অচিরেই পথের কাঁটা হয়ে উঠেন দ্বিতীয় প্রেমিক। তাঁকে সরাতে প্রথম ও তৃতীয় প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুনের অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দেগঙ্গা থানার শ্বেতপুর গ্রামে কৃষকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তাঁর দুই প্রেমিক।

    সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন দেগঙ্গার শরিফুল ইসলাম (৪৫)। মঙ্গলবার সকালে তাঁর নগ্নদেহ উদ্ধার হয় শ্বেতপুর গ্রামের পার্কের পিছন থেকে। মৃতের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে  গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিকা ইসমত আরা বিবিকে। প্রাথমিক অনুমান করা হয় শরিফুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু একা ইসমত আরার একার পক্ষে খুন করা সম্ভব নয়! তদন্তে নামতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    পুলিশ জানতে পারে, ইসমত আরা বিবির সঙ্গে শরিফুলের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। বছর চোদ্দ ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। কখনও এলাকার কোনও নির্জন জায়গায় কিংবা রাতের অন্ধকারে নিজের বাড়িতে ইসমত আরা দেখা করতেন শরিফুলের সঙ্গে। শুধু শরিফুল নয়, এলাকারই আরেক ব্যক্তি মনা ঘোষের (৫০) সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন ইসমত আরা। মনা মহিলার প্রথম প্রেমিক। দুই প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর অভিলাষ গ্রামবাসীদেরও অজানা নয়।

    এরই মাঝে বছর চারেক আগে সফিকুল ইসলামের(৫০) সঙ্গে পরিচয় হয় ইসমত আরার। সম্প্রতি প্রেমিকার নতুন প্রেমের কথা জানতে পেরে বিরোধিতা শুরু করেছিল শরিফুল। এতেই তাঁর উপর আক্রোশ তৈরি হয় ইসমত আরা ও শফিকুলের। অভিযোগ, তাঁরা পরিকল্পনা করেন শরিফুলকে সরিয়ে ফেলার। তাতে যোগ দেন অভিযুক্ত মহিলার প্রথম প্রেমিক মনা ঘোষও(৫০)।

    পুলিশের দাবি,পরিকল্পনা মাফিক গত সোমবার সন্ধ্যায় শরিফুলকে ফোন করে বাড়িতে ডাকে প্রেমিকা। আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন মনা ও শফিকুল। শরিফুল সেখানে পৌঁছলে তিনজন মিলে তাকে জোর করে নিয়ে যায় ইসমত আরার বাড়ির পিছনে একটি পুকুরে ধারে। সেখানেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে শ্বেতপুর গ্রামের একটি পার্কের পিছনে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)