• খগেন মুর্মু এবং শংকর ঘোষের হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি
    প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • শান্তুনু কর এবং অরূপ বসাক: খগেন মুর্মু এবং শংকর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার। পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ঘটনার প্রায় ৫১ ঘণ্টা পর আজ বুধবার নাগরাকাটা থানার পুলিশ দুজনকে পাকড়াও করে। যদিও ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খন্ড বহালে জানিয়েছেন, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    গত সোমবার নাগরাকাটায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁদেরকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। ইটের আঘাতে আহত হন দুই বিজেপি নেতাই। শুধু তাই নয়, একেবারে রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয় বিজেপি সাংসদের। জানা যায়, ইটের আঘাতে তাঁর চোখের নিচে হাড় ভেঙেছে। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে খগেন মুর্মু চিকিৎসাধীন থাকলেও ছাড়া পেয়েছেন শংকর ঘোষ।

    ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। মঙ্গলবারই আহত খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন কলকাতায় ফিরেই উত্তরবঙ্গের দুর্গত এলাকায় গিয়ে খগেন মুর্মুর আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্য কারণ নিয়েও এদিন সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেটা তো বিজেপির এলাকা। এমপি, এমএলএ সবই বিজেপির। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম! এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয় তো?”

    মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “বন্যা বা দাঙ্গার মতো পরিস্থিতিতে এমন ক্ষোভ হতেই পারে। কারণ, ঘর বাড়ি হারিয়ে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না। তবে তদন্ত চলছে। কেউ ছাড় পাবে না। এভাবে ৩০-৪০টা গাড়ি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে দুর্গত এলাকায় ঢুকে পড়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? আগে তো মানুষকে উদ্ধার করতে হবে! লোক দেখানো কনভয়ে কী হবে?” বলে রাখা ভালো, এর আগে হাসপাতালে গিয়ে জখম খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ডিভিসিকেও তোপ দাগেন। বলেন, “মানুষের দুর্দশার সময় এই জলছাড়া কেন?”
  • Link to this news (প্রতিদিন)