বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, ধনরাজ ঘিসিং, শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং: বাতিল হচ্ছিল একের পর এক বুকিং। পর্যটকরা চলে যাচ্ছিলেন সিকিমের দিকে। যা নিয়ে স্থানীয় ট্যুর অপারেটর এবং ল্যান্ড রোভার চালকদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছিল ক্ষোভ। দ্রুত ট্রেকিং রুট চালুর দাবিতে সরব হচ্ছিলেন তাঁরা। এরপরেই খুলে দেওয়া হল সান্দাকফু। ভূমিধসের শঙ্কায় রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সান্দাকফু ট্রেকিং বন্ধ করেছিল প্রশাসন। বুধবার আবহাওয়া ভালো হতেই আবার সান্দাকফু রুট পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সুকিয়াপোখরির বিডিও আরোগ্য গোয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “এখন আবহাওয়া খুবই ভালো। তাই পর্যটকদের জন্য আজই সান্দাকফু রুট খুলে দেওয়া হয়েছে।”
সান্দাকফু বন্ধ হতেই কয়েক’শো ট্রেকার বুকিং বাতিল করে চলে যান সিকিমে। শুধু তাই নয়, দার্জিলিংয়ে ট্রেকার ট্যুরিস্টদের বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সান্দাকফু সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সান্দাকফু ট্রেকিং বন্ধ করে দেওয়ায় শুধুমাত্র ৫ অক্টোবর ৩১টি গাড়ি বোঝাই ট্রেকার ফিরে চলে যান। একইভাবে ৭ অক্টোবর ২০টি গাড়ি বুকিং ট্রেকাররা বাতিল করেন। বুকিং বাতিলের এমন হিড়িক দেখে গাড়ি চালক ও হোমস্টে মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। সান্দাকফু সিংহালিলা ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন প্রধান বলেন, “বৃষ্টিতে রাস্তার কিছু জায়গা ভেঙেছে। পূর্ত দপ্তর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে আমরা নিজেরাই মেরামত করেছি।”
তিনি জানান, অক্টোবর মাস থেকে সান্দাকফুতে ট্রেকিংয়ের জন্য প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন। ৫ অক্টোবর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারির পর অনেক পর্যটক মানেভঞ্জন থেকে ফিরেছেন। এদিকে প্রশাসন সান্দাকফুতে ট্রেকিং বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পর্যটকদের বড় অংশ পূর্ব এবং উত্তর সিকিমে ভিড় জমাতে শুরু করেন। কারণ, না-থুলা, জিরো পয়েন্ট, ইয়ংথাংয়ে তুষারপাত শুরু হয়েছে। যাতায়াতের রাস্তা ভালো না-হলেও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা সেখানে ছুটতে শুরু করেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।