জেলে বসেই সোনার দোকানে ডাকাতির ছক মূল পাণ্ডার! বরানগরে ব্যবসায়ী খুন-লুটপাটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: জেলে বসে সোনার দোকানে ডাকাতির ছক কষার পর কলকাতার বউবাজার, সিঁথির সোনাপট্টি ও বরানগরের শম্ভুনাথ দাস লেনের সোনাপট্টিতে রেইকি করেছিল মূল ষড়যন্ত্রকারী সঞ্জয় মাইতি। তিনটি এলাকার মধ্যে বরানগর শম্ভুনাথ দাস লেনের সোনাপট্টিতে তুলনামূলক কম নিরাপত্তা থাকায় সেখানের ৯ নম্বর দোকান ‘সরস্বতী চেন এন্ড অর্নামেন্টসে’ দোকান বেছে নেওয়া হয়। এরপর পূর্ব কলকাতার নারকেলডাঙার বাসিন্দা সাগরেদ সুরজিৎ শিকদারকে মাসখানেক আগে ওই দোকানে সোনার গয়না কিনতে পাঠায় সঞ্জয়।
নগদ টাকা দিয়ে চেন কেনার অছিলায় পরিকল্পনামাফিক শংকর জানার দোকানের কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা আছে সেসব দেখে এসেছিল সে। এরপরই বরানগরের সোনা ব্যবসায়ী পাঁচু সামন্তকে সোনা বিক্রির কথা সেরে ফেলেছিল সঞ্জয়। গত শনিবার দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন করার পর ডাকাতির প্রায় তিন কেজি সোনা পাঁচুকে বিক্রি করে প্রথম দফায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সঞ্জয়। ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এমনটাই জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
জামশেদপুর থেকে ধৃত চন্দন মন্ডল ও প্রিন্স কুমারকে বুধবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের পরিকল্পনা তাদের ছিলনা। লঙ্কা গুঁড়ো ছেটানোয় পর ব্যবসায়ী চিৎকার শুরু করলে মাথায় লোহার দণ্ড (কাতুরি) দিয়ে আঘাত করে তাঁরা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জামসেদপুর থেকে ধৃত দু’জনকে ৫০ হাজার করে দেওয়া হয়েছিল, আর বলা হয়েছিল লুটের যতটুকু সোনা তারা নিতে পারবে, সেটাই তাদের ভাগ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দুই জনের খোঁজে এরাজ্য সহ প্রতিবেশী রাজ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।