নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না, বিহার ভোটে কড়া কমিশন
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনের প্রচারে কোনও সাধারণ নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না। বাড়ির মালিক তথা বাসিন্দার অনুমতি ছাড়া সামনে সভা করা যাবে না। সরকারি বিল্ডিং তো বটেই, অনুমতি-বিনা সাধারণ মানুষের বাড়ির দেওয়াল, তাদের জমিতে কোনও রাজনৈতিক দল পতাকা, ব্যানার, পোস্টার লাগাতে পারবে না। কড়া অবস্থান নিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিহারের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে অত্যন্ত কড়া হাতে আদর্শ নির্বাচন বিধি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কোথাও অন্যথা হলে কমিশনের বিশেষ রেসপন্স টিম পৌঁছে যাবে। বিহার নির্বাচনে ৮২৪টি ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এক লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪১ হাজার আধা সেনা বিহার পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কাল ১০ অক্টোবর প্রথম দফার ভোটের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও জারি হবে।
বিহারের বিদায়ী এনডিএ সরকারের কোনও মন্ত্রী যাতে সরকারি কাজের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে, তার জন্য নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। কোনওভাবেই সরকারি গাড়ির অপব্যবহার করা যাবে না। প্রচারে কাজে বা সভা সমিতির জন্য সব রাজনৈতিক দল যাতে সমান সুযোগ পায়, নিরপেক্ষ থেকে তা ব্যবস্থা করতে হবে বলেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজনৈতিক দলের তারকা প্রচারকদের জন্য হেলিপ্যাড ব্যবহার, সভার জন্য মাঠ বণ্টনে যেন কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপির দাবি মেনে দু’ দফায় ভোট, ভোটদান কেন্দ্রে মুসলিম মহিলাদের প্রয়োজনে বোরখার মুখ খুলে পরিচয় পরীক্ষা করার মতো উদ্যোগ নেওয়ায় জ্ঞানেশ কুমার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাই নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণ তিনি মরিয়া।
এদিকে, বুধবার প্রার্থী বাছাই বৈঠকে কংগ্রেস ২৩ জনের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। শীঘ্র সেই তালিকা প্রকাশ হবে। দলের প্রার্থী ঠিক করতে এদিন বৈঠকে হয় কংগ্রেসের।