যাত্রার দিন পাল্টাতে পারলেও কনফার্মড টিকিটের গ্যারান্টি দেবে না রেল কর্তৃপক্ষ, ভাড়ার হেরফেরে যাত্রীকে গুনতে হবে বাড়তি টাকা
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘ডেট অব জার্নি’ পাল্টানোর জন্য রেল যাত্রীকে আলাদা ভাড়া গুণতে হবে না ঠিকই। কিন্তু নতুন ‘ডেট অব জার্নি’তে কনফার্মড টিকিটের নিশ্চয়তাও যাত্রীদের দেওয়া হবে না। সাধারণ প্রক্রিয়ায় এই পদ্ধতিতে কোনও বাড়তি কড়ি খরচ করতে হবে না ঠিকই। তবে পরিবর্তিত যে তারিখে তা পাল্টানো হচ্ছে, সেদিন যদি ডায়নামিক ফেয়ার কিংবা অন্য কোনও কারণে ওই একই যাত্রাপথের ভাড়া বৃদ্ধি পায়, তাহলে অতিরিক্ত টাকা মেটাতে হবে যাত্রীকে। অর্থাৎ, দূরপাল্লার সংরক্ষিত শ্রেণিতে নিশ্চিত আসন পেতে হয়রানির শিকার হতেই হবে সাধারণ রেল যাত্রীদের। বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, এর ফলে দালালদের রমরমা আরও বেড়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
রেলের একাধিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও, কালীপুজো এবং দীপাবলিতে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ফলে নিত্যদিন অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে রেল বোর্ড। আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই শর্তসাপেক্ষে বিনামূল্যে ট্রেনের ‘ডেট অব জার্নি’ পাল্টাতে পারবেন রেল যাত্রীরা। বর্তমানে সফর সূচিতে কোনওরকম পরিবর্তন করতে হলে রেল যাত্রীদের কনফার্মড টিকিট বাতিল করতে হয়। আবারও নতুন করে নয়া তারিখের জন্য তা বুকিং করতে হয়। ট্রেনের টিকিট বাতিল প্রক্রিয়াও খরচ সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে রেলকে ক্যানসেলেশন চার্জ দিতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু ‘ডেট অব জার্নি’ পাল্টাতে গিয়ে যদি কনফার্মড টিকিটই পাওয়া না যায়, তাহলে কী হবে? পাশাপাশি ভাড়ার তারতম্যে যদি বাড়তি অর্থ গুণতেই হয়, তাহলে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার অর্থই বা কী?
বুধবার রেল অবশ্য জানিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে তারা সবসময়ই তৎপর। বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানই হোক, কিংবা রেলের পরিকাঠামোগত মানোন্নয়ন করে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া—দু’ক্ষেত্রেই তারা উদ্যোগী। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে রেলের বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর ৫৬ শতাংশের বেশি অর্থই খরচ করেছে তারা। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।