সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ভোটের সময় একাধিকবার বাড়ি বাড়ি আসেন। কিন্তু বিপদের দিনে বাসিন্দারা বিজেপি সাংসদের দেখা পাচ্ছেন না। প্লাবিত পোড়াঝারে এটাই এখন চর্চার বিষয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় ঘুরছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। অথচ তাঁর বাসস্থানের কাছেই পোড়াঝারে একবারের জন্যও তাঁকে দেখা যায়নি ।
গত শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে মহানন্দার জলস্ফীতিতে পোড়াঝারে আড়াইশোটিরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। দুর্দিনে সাংসদকে কাছে না পেয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অনেকে আবার তাঁদের সাংসদকে চেনেনও না।
গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসনে এই ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা থেকেই সর্বাধিক লিড পেয়েছিলেন বিজেপির জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ির দু’বারের সাংসদ জয়ন্তর এলাকায় না ঘোরার অভিযোগ বারবার উঠেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটের হাওয়া দেখতে এসে পোড়াঝারের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, সারা বছর সাংসদকে দেখা যায় না। এলাকায় কোনও উন্নয়নও করেন না তিনি। একাংশ বাসিন্দার দাবি, সেই ধারা বজায় রেখে প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের কাছ থেকে এবারও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন জয়ন্ত। স্থানীয় স্বপ্না রায়, অনু দাসদের কথায়, সব হারিয়ে চরম বিপদের মধ্যে রয়েছি। কীভাবে দিন চলবে, ভেবে কূল পাচ্ছি না। এমন অসহায় অবস্থা হওয়ার পরও সাংসদ একবারের জন্য এলাকায় আসেননি। অথচ ভোটের সময় ঠিক দেখা যায়। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, এত বড় বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্রের কোনও সাহায্য নেই। সাংসদকেও বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না।
এতকিছুর পরও পোড়াঝারে না যাওয়ার জন্য বিজেপি সাংসদের সাফাই, ছোট ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকার থেকেও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যেখানে, সেখানে যাচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়। পরে সময় বের করে পোড়াঝারে যাব। আমি না গেলেও বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, দলের কর্মীরা সেখানে গিয়েছেন। পোড়াঝাড়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীনের সঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। - নিজস্ব চিত্র।