পলি-কাদায় ঢেকেছে জলদাপাড়া, এখনই চালু হচ্ছে না কার সাফারি
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মঙ্গল ও বুধবার দিনভর কুনকি হাতি নিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে চিরুণী তল্লাশি চালাল বনদপ্তর। তাতে জঙ্গলের ভিতরে কোনও বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ চোখে না পড়ায় স্বস্তিতে বনদপ্তরের কর্তারা। তবে পলি ও হাঁটু সমান কাদা মাটি থাকায় পর্যটকদের জঙ্গলের ভিতরে যেতে দিচ্ছে না বনদপ্তর। ফলে জলদাপাড়ায় এখনই কার সাফারির সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, তোর্সা নদী দিয়ে ভেসে আসা আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাঁচটি গন্ডারকে মঙ্গলবারই জঙ্গলে ফিরিয়ে দিয়েছে বনদপ্তর। কিন্তু কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে থাকা গন্ডারটিকে বুধবারও জঙ্গলে ফেরানো যায়নি। বনদপ্তরের প্রাথমিক লক্ষ্য, গন্ডারটিকে আপাতত সেখানকার পাতলাখাওয়ার রসমতীর জঙ্গলে ফেরানো।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝা বলেন, কুনকি হাতি নিয়ে জঙ্গল স্ক্যানিংয়ে কোনও বন্যপ্রাণীর দেহ চোখে পড়েনি। তবে জঙ্গলের ভিতরে পলি ও কাদা মাটি থাকায় এখনই জলদাপাড়ায় সাফারি চালুর সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, মাথাভাঙায় থাকা গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকের ধলোগুড়ি এলাকায় একটি কলাবাগানে গন্ডারটি ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে চারটি কুনকি নিয়ে ১০০ জন বনকর্মী আছেন। জলদাপাড়ার বনকর্তারা জানান, ধলোগুড়ি থেকে রসমতী বনাঞ্চলের দূরত্ব তিন কিমি। রসমতী থেকে জলদাপাড়ার দূরত্ব ১৮ কিমি। তাই বনদপ্তরের প্রথম লক্ষ্য
কোচবিহারের গন্ডারটিকে রসমতীর জঙ্গলে ফেরানো। তারপর সেটিকে ধীরে ধীরে জলদাপাড়ায় ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। রাতেও কুনকির পিঠে চড়ে তল্লাশি। - নিজস্ব চিত্র।