সোমেন পাল, গঙ্গারামপুর: দুর্গা, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো শেষ। এবার কালী আরাধনার প্রস্তুতি শুরু। বুধবার বুনিয়াদপুর বিপ্লবী ক্লাবে খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শুরু হল কালী আরাধনার প্রস্তুতি। এদিন খুঁটিপুজোয় ছিলেন গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। বুনিয়াদপুর শহরে বিগ বাজেটের কালী পুজো করে আসছে বিপ্লবী ক্লাব। এবার ৪৮ তম বর্ষে তাদের পুজো।
এদিন বুনিয়াদপুর শহরের সরাইহাট এলাকায় ক্লাব চত্বরে খুঁটিপুজোয় ছিলেন এলাকার মানুষও। পুজো শেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, থিম ভাবনার উপরে ভর করে পুজোমণ্ডপ হচ্ছে। এবারের থিম ‘মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি’। পুজো প্যান্ডেলে দেখা যাবে, লক্ষ্মীর পেঁচা, ময়ূর, হরিণ, জীব বৈচিত্র্যের মাধ্যমে কীভাবে মানুষের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়। পুজো প্যান্ডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই থাকবে প্রতিমা। বিশেষ আলোক সজ্জার চমক থাকবে ৫১২ নং জাতীয় সড়কের দু’পাশে। কালী পুজোর একদিন আগে মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। পুজোর পাঁচদিন থাকছে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর পাশাপাশি সামাজিক কাজেও ব্রতী হয়েছেন উদ্যোক্তারা। বস্ত্র বিতরণ, দুঃস্থ, মেধাবী পড়ুয়াদের মধ্যে লেখাপড়ার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্যও করবেন পুজো উদ্যোক্তারা। গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত বলেন, প্রত্যেক বছর বুনিয়াদপুরের বিপ্লবী ক্লাবের কালীপুজোতে আসি। এবারে খুঁটিপুজোতে ছিলাম। উদ্যোক্তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। পুজোর পাশাপাশি সামাজিক কাজেও ক্লাবটির সুনাম রয়েছে বুনিয়াদপুর শহরের বুকে। পুজো কমিটির সম্পাদক সমীর সরকার বলেন, আমরা ৪৭ বছর ধরে বুনিয়াদপুর শহরে একটু অন্যরকম পুজো উপহার দিয়ে আসছি। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কালীপুজোর পাঁচদিন যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, তেমনি বস্ত্র বিতরণ, পড়াশোনার সামগ্রী বিলি হবে। প্রায় ২০০ জনের তালিকা আমরা তৈরি করেছি। বিপ্লবী ক্লাবের খুঁটিপুজোয় গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র।-নিজস্ব চিত্র