জরুরি সামগ্রী, পোশাকের চারশো ব্যাগ পাঠানো হল বিপর্যস্ত মিরিকে
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, বাগডোগরা: পাহাড়-ডুয়ার্সে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি দ্রুতগতিতে স্বাভাবিক হওয়ার পথে। এর জন্য দিনরাত জেগে পুলিশ, প্রশাসনের সব স্তরের কর্মী, আধিকারিকের কাজের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত তিনদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার মাঝে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কলকাতা রওনা হলেও দু’তিনদিনের মধ্যেই ফের উত্তরবঙ্গে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মিরিক সহ সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাগে করে দুধ, লঙ্কা, হলুদ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী দুর্গতদের জন্য পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেও চারশোটি এরকম ব্যাগ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া দেওয়া হচ্ছে কম্বল, সোয়েটার, একাধিক জামাকাপড়।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এদিন থেকেই জলপাইগুড়ি সহ বাকি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজের তদারকি শুরু করে দিয়েছেন। এছাড়া সব জেলাশাসক থেকে শুরু করে বাকি শীর্ষ আধিকারিকেরা লাগাতার নজরদারি রাখার পাশাপাশি পাঠাচ্ছেন বিস্তারিত রিপোর্ট।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলার শীর্ষ আধিকারিকেরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কাজের গতি বাড়িয়েছেন। সমস্ত এলাকার খবরাখবর যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেক হেল্পলাইন নম্বরে আসা অভিযোগ বা অন্যান্য তথ্যে নজর রাখা হচ্ছে বেশি করে।
এদিন ফিরে যাওয়ার আগে মমতা বলেন, আবার দু’-তিনদিনের মধ্যে আসছি। ডিএমরা নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি সহ সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন। পঞ্চায়েত মন্ত্রীও থাকছেন তদারকির জন্য।
ত্রিপুরায় দলের কার্যালয় ভাঙচুর প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমাদের টিম গিয়েছে। তাঁরাই বিষয়টি জানাবেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এদিন সকালে খগেন মুর্মু ও শংকর ঘোষকে দেখতে যান মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে। আক্রমণকারীদের গ্রেফতার না করলে মারের বদলে পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত। খগেনকে মুখ্যমন্ত্রীর দেখতে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। ধূপগুড়ির ত্রাণ শিবিরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। - নিজস্ব চিত্র।