• হাওড়ায় ট্রেনে উঠে মার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে, লুট ১ কোটি টাকার গয়না
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: মঙ্গলবার রাতে হাওড়া স্টেশনে রাঁচিগামী ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করে সোনার গয়না ভর্তি ব্যাগ লুট করে চার দুষ্কৃতী। লুটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই  বিহারের তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। তবে লুট হওয়া প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের সোনার গয়না ভর্তি ব্যাগ সহ পলাতক এক দুষ্কৃতীর খোঁজ এখনও মেলেনি। তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বিহারের ওই দুষ্কৃতী দলটি দীর্ঘদিন ধরে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির বাসিন্দা দীপক কুমার পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ধনতেরাস পরবে রাঁচির দোকানে বাড়তি সোনার গয়না মজুতের সিদ্ধান্ত নেন। গয়না কিনতে কিছুদিন আগেই কলকাতায় আসেন তিনি। প্রায় এক কেজি ওজনের সোনার গয়না কিনে ব্যাগে ভরে মঙ্গলবার রাঁচি ফেরার জন্য হাওড়া স্টেশনে আসেন। রাত ন’টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিয়াযোগা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন তিনি। ট্রেনের বি-২ বাতানুকূল বগিতে বসেছিলেন দীপকবাবু। অভিযোগ, আচমকাই লাঠি হাতে চার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ট্রেনে উঠে তাঁর উপর চড়াও হয়। অন্যান্য যাত্রীদের সামনেই দুষ্কৃতীরা দীপকবাবুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে। এরপর  গয়না ভর্তি ব্যাগটি লুট করে দুষ্কৃতী দলটি ট্রেন থেকে নেমে যায়। দীপকবাবু ও অন্যান্য সহযাত্রীদের চিৎকারে ছুটে আসে রেল পুলিশ। আরপিএফ এবং জিআরপি যৌথভাবে তদন্তে নামে। স্টেশনের ভেতরে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর গভীর রাতে পাকড়াও হয় তিন দুষ্কৃতী। ধৃতরা হল, মহম্মদ আলম, মহম্মদ আরিফ ও মহম্মদ দিলশাদ। প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। এদের বাড়ি বিহারে। রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, চার দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন এখনও পলাতক। তার কাছেই লুট হওয়া গয়নার ব্যাগটি রয়েছে। শীঘ্রই সে জালে ধরা পড়বে। তবে জনবহুল হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরায় উঠে মারধর ও লুটের ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের স্বার্থে দীপকবাবুকে আপাতত হাওড়াতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছে রেল পুলিশ।
  • Link to this news (বর্তমান)