• ষষ্ঠীর আগে শিল্পীর ফ্ল্যাটে জানালার গ্রিল কেটে চুরি, হয়নি এফআইআর! হাত গুটিয়ে যাদবপুর থানা
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সুজিত ভৌমিক  কলকাতা

    দেশের জাতীয়স্তরের পেশাদার নৃত্যশিল্পী তথা নৃত্যশিক্ষকের যাদবপুরের ফাঁকা ফ্ল্যাটের জানলার গ্রিল কেটে দুঃসাহসিক চুরি! ঠিকপুজোর মুখে ইব্রাহিমপুর রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৬-৭টি রুপোর কয়েন, একটি দামি বিদেশি ঘড়ি, সোনার জল করা নাচের গয়না এবং একাধিক মেডেল চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। 

    বছর তিরিশের পেশাদার নৃত্যশিল্পী সুপ্রতিম তালুকদার ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনার পর স্থানীয় যাদবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আটদিন কেটে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদলকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, যাদবপুর থানা এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেনি! সম্ভবত যাদবপুর থানা এই চুরির ঘটনার খবর পৌঁছয়নি লালবাজারের অ্যান্টি বার্গলারি স্কোয়াডের কাছে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতাকে ফোন এবং হোয়াটস অ্যাপে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন পাঠানো হলেও, বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

    দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও এফআইআর দায়ের করছেন না একাধিক থানার এক শ্রেণির অফিসার। যদি দেখা যায়, অপরাধের কিনারা সম্ভব, তখনই এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। মূলত, চুরি, ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের একাংশের এমন প্রবণতা কার্যত ছোঁয়াচে রোগের আকার নিয়েছে। শীর্ষকর্তারা স্বীকার করছেন, কোনও কিছুতেই এই প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

    যাদবপুর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে নৃত্যশিল্পী সুপ্রতিমবাবু জানিয়েছেন, ‘পুজোর মুখে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ তিনি দমদমের বেদিয়াপাড়াতে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে দিন কয়েকের জন্য গিয়েছিলেন। ২৭ তারিখে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে ঢুকেই দেখেন, জানলার গ্রিল কাটা হয়েছে। আলমারির লকার ও দরজার হ্যাজবোল্ট ভেঙে তছনছ করেছে দুষ্কৃতী দল। গোটা ঘর কার্যত লণ্ডভণ্ড। আলমারি থেকে উধাও নগদ-গয়না সহ অন্যান্য সামগ্রী।’ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর নৃত্যশিল্পীর বাড়ি পরিদর্শন করেন যাদবপুর থানার পুলিশের একটি দল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখনও এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এখনও পুরোপুরি অন্ধকারে যাদবপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, গত ৭ অক্টেবার রাতে সুপ্রতিমবাবু এই মামলার অগ্রগতি জানতে যাদবপুর থানার এসআই সোমনাথ দত্তকে ফোন করলে তাঁকে জানানো হয়, ‘উচুতলার অনুমতি না মেলায় এখনও এফআইআর দায়ের করা যায়নি।’
  • Link to this news (বর্তমান)