সংবাদদাতা, বারুইপুর: অষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল নাবালক প্রেমিক ও তার দুই সাবালক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে বুধবার। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে ও তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত এখনও পলাতক। মাস দেড়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নাবালকের। পরে মোবাইলে কথাবার্তাও শুরু হয়। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। পুজোতে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করেছিল দুজনে। সেই মতো অষ্টমীর রাতে বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে ওঠে ওই ছাত্রী। আরেকটি বাইকে ছিল দুই বন্ধু। শাসন বালক সঙ্ঘের ঠাকুর দেখিয়ে সোজা বাইকে করে প্রেমিকাকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর কাটাখাল বাইপাসে নিয়ে যায় তার প্রেমিক। সেখানে নির্যাতিতাকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর উত্তরভাগে একটি নির্জন গলিতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। নির্যাতনের ভিডিও তুলে রাখে একজন। কাউকে বললে সেটা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্তরা। রাতেই নির্যাতিতাকে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডুর কাছে তার আত্মীয়ের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় প্রেমিক। ১ অক্টোবর নবমীর সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে ওইদিন দুপুরে মেয়েকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। ২ অক্টোবর নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারপরের দিনই প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসা করে ৪ তারিখ আরমান আকুঞ্জ নামে তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও অধরা তৃতীয় অভিযুক্ত। নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল আদালতে তোলে বারুইপুর থানা। পাশাপাশি আরমানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতা এখনও চিকিৎসাধীন।