• উপার্জন করতে মুখোশ তৈরি শিখছেন নামখানা, পাথরপ্রতিমার ৩৫০ পড়ুয়া
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: নিজেদের আঁকা শেখার খরচ চালাতে মুখোশ তৈরি করার কাজ শিখছেন ছাত্রছাত্রীরা। নামখানা ও পাথরপ্রতিমা মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কাকদ্বীপের এক যুবকের উদ্যোগে প্রায় আট জন প্রশিক্ষক তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, ছৌ নাচ, পালাগান, যাত্রাশিল্প ও ব্রতচারীর সময় মুখোশের প্রয়োজন হয়। এছাড়া আগমনী উৎসবের সময়েও বিভিন্ন রকমের মুখোশ লাগে। মূলত সেই মুখোশগুলিই এই ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করে থাকেন। সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়ে মধু সংগ্রহের সময়ও মৌলিরা যে মুখোশ ব্যবহার করেন, সেগুলিও তাঁরা তৈরি করেন। তৈরি করার পর এই মুখোশগুলি পুরুলিয়ার পটুয়াপাড়ায় সরবরাহ করা হয়। সেখানেই সেগুলি বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

    এ বিষয়ে এক ছাত্রী শ্রাবন্তী আচার্য জানিয়েছেন, বাজারে মুখোশের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই শিল্প ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। মুখোশ তৈরি করেও রোজগার করা যায়। প্রশিক্ষণে এসে সেই তথ্য আমরা জেনেছি। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা মুখোশ তৈরিও করছি। এই প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্যোক্তা শান্তনু দাস বলেন, মুখোশ তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। প্রথমে কাগজকে জলে ফেলে পচানো হয়। এরপর আঠা দিয়ে মাখিয়ে মাটির মতো ডেলা পাকানো হয়। তারপরই মুখোশ তৈরি করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর নিজেরাই এগুলি তৈরি করছেন। দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন মুখোশ তৈরি করতে পারলে, আগামী দিনে তাঁরা এখান থেকেও উপার্জন করতে পারবেন। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে সুন্দরবনের আরও ছাত্রছাত্রীকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)