নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সমস্ত গঙ্গার সব ঘাট পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। গঙ্গায় এখনও যদি কোনও প্রতিমার কাঠামো পড়ে থাকে, তা দ্রুত তুলতে হবে। গঙ্গার ঘাট এবং সংলগ্ন এলাকা ছটপুজোর আগেই এভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। প্রতিটি পুরসভাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পুর এলাকায় এই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। চিড়িয়ামোড়ে কার্নিভালের পর অনেক প্রতিমা বারাকপুরে রানি রাসমণি ঘাটের গঙ্গায় বিসর্জন করা হয়। এছাড়া বারাকপুর এবং টিটাগড়েও বহু প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে গঙ্গায়। এ থেকে যাতে গঙ্গা দূষণ না হয়, সে জন্যই বারাকপুর পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত কাঠামো তুলে ফেলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অনেক প্রতিমার কাঠামো তোলা হয়েছে।
দু’-একদিনের মধ্যে সব কাঠামো তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নওশাদ আলম জানান। তিনি বলেন, পুরদপ্তরের একটি নির্দেশ থাকে। সেই নির্দেশ মতোই গঙ্গার ঘাটগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে। ছটপুজোর আগে শুধু কাঠামো তোলা নয়, গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকাগুলিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। ছটে বহু মানুষ দণ্ডী কাটে। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। একইরকমভাবে ভাটপাড়া, গারুলিয়া, উত্তর বারাকপুর, নৈহাটি এবং হালিশহর পুরসভাও গঙ্গা থেকে কাঠামো তোলার কাজ করছে, সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে।
নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিসর্জনের পরের দিন থেকেই আমাদের সাফাইকর্মীরা কাঠামো তোলার কাজ করছেন। সামনে কালীপুজো। নৈহাটিতে বহু মানুষের জমায়েত হয়। দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার পরিকল্পনা হচ্ছে। একইরকমভাবে হালিশহরের বিসর্জন ঘাটগুলি থেকেও কাঠামো তোলা হচ্ছে।