• ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি, শুনানিতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট
    আজকাল | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: উমিদ পোর্টালে সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তির বাধ্যতামূলক নথিভুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন শুনতে বৃহস্পতিবার রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। ব্যবহারকারী-সৃষ্ট ওয়াকফ (waqf-by-users) সম্পত্তিগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত।

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে শীর্ষ আদালত ওয়াকফ আইন, ২০২৫-এর কয়েকটি মূল ধারার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তার মধ্যে একটি ধারা ছিল যে, শুধুমাত্র গত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালনকারীরাই ওয়াকফ গঠন করতে পারবেন। তবে আদালত পুরো আইনটির উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে এবং আইনের সাংবিধানিক বৈধতার কিছু ক্ষেত্রে মান্যতা দেয়।

    পাশাপাশি, আদালত কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকেও মান্যতা দেয় যেখানে নতুন সংশোধিত ওয়াকফ আইন থেকে 'ব্যবহারকারী-সৃষ্ট ওয়াকফ' সংক্রান্ত ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের মতে, আপাতদৃষ্টিতে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ খেয়ালখুশিমতো নয়। সরকারের দ্বারা ওয়াকফ জমি দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাকেও "অমূলক" বলে জানায় আদালত। প্রসঙ্গত, 'ব্যবহারকারী-সৃষ্ট ওয়াকফ' হল এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনও সম্পত্তির মালিক লিখিতভাবে সেটিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা না করলেও, দীর্ঘ সময় ধরে ধর্মীয় বা দাতব্য কাজে নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহৃত হওয়ার সুবাদে সম্পত্তিটি ওয়াকফ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

    বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির আইনজীবী নিজাম পাশা ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদনটি তালিকাভুক্ত করার আর্জি জানান। তিনি বলেন, "সংশোধিত আইনে নথিভুক্তির জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচ মাসই কেটে গিয়েছে রায় বেরোতে। এখন আমাদের হাতে মাত্র এক মাস বাকি।"

    সেই সময় অন্য একটি মামলার জন্য আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই আর্জির উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানান এবং বলেন যে এই বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করা উচিত।

    জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, "তালিকাভুক্ত হতে দিন। তালিকাভুক্ত করার অর্থই মঞ্জুর করা নয়।"

    উল্লেখ্য, সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তির জিও-ট্যাগিং করে একটি ডিজিটাল তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যে কেন্দ্র গত ৬ জুন 'ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৫' (উমিদ) নামে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করে। এই পোর্টালের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সারা ভারতে সমস্ত নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তির বিবরণ ছয় মাসের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে আপলোড করতে হবে।
  • Link to this news (আজকাল)