ছাব্বিশে BJP র স্ট্র্যাটেজি কী? বাংলায় ভূপেন্দ্র, বিপ্লবের কাজ শুরু
আজ তক | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
পুজো শেষ হতেই বঙ্গ BJP-তে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সেই মতো সংগঠনের মোর্চা প্রধানদের নিয়ে কলকাতার হেড অফিসে সভার আয়োজন করা হয়েছে আগামিকাল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভোট প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপ্লব দেব এবং ভূপেন্দ্র যাদব। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা তাদের দ্বিতীয় মিটিং।
এই মিটিংয়ে সংগঠনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে বলেই খবর। সেখানে সংগঠনের ত্রুটি এবং শক্তির জায়গা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেই মতো পরবর্তী রুটম্যাপ ঠিক হবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ভোটের প্রস্তুতি চলছে
পশ্চিমবঙ্গে আগামি বছর হবে বিধানসভা ভোট। সেই মতো রাজ্যে SIR-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মাসেই হয়তো ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। সেই সময় বিজেপি-এর সভ্যরা ঠিক কীভাবে কাজ করবে, সেটাও আগেভাগে ছকে রাখতে চাইছে বিজেপি।
এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের ভোটের আগে নিজেদের আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে বিজেপি। তারা প্রাথমিকভাবে সংগঠনের বাস্তবিক পরিস্থিতি ঝালিয়ে নিচ্ছে। এর পর কোন আসনে কাকে দাঁড় করানো যায়, সেটা দেখার পালা। আর সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব। এই পর্বে বিভিন্ন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামলে উঠে কোনও একজনকে টিকিট দিতে হবে। তাই সেই কাজটাও মোটের উপর ছকে রাখতে চাইছে BJP বলেই খবর।
তবে এখনই এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হবে না। বরং একটা সম্ভাব্য লিস্ট সাজিয়ে রাখতে চাইছেন উচ্চ নেতারা। সেই লিস্টে এখনও অনেক অদলবদলের রয়েছে সম্ভাবনা। একদম ভোটের আগেই বেরবে শেষ প্রার্থী তালিকা।
বুথ লেভেল সংগঠন গোছাতে ব্যস্ত
আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনের একদম বুথ লেভেলের পরিস্থিতি জানতে চাইছেন ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিপ্লব দেব। কোথাও নিচু তলার সংগঠন দুর্বল হলে, সেটা ঠিক করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
তবে কোথায় পরিস্থিতি খারাপ, আর কোথায় ভালো, সেটা বুঝতে গেলে সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সভা করে যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলে দাবি।
খগেন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
ও দিকে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। এই ঘটনায় মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে দাবি।
আর এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির-এর চাপানউতোর এখনও অব্যাহত।