• ত্রিপুরার ঘটনা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস: মন্ত্রী শশী-অরূপ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ কোন এক্তিয়ারে? ত্রিপুরায় তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল। এমতাবস্থায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি কলকাতা থেকেও কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং দলীয় মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী।

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে শশী পাঁজা বলেন, ‘ত্রিপুরা এখন পরিণত হয়েছে এক সন্ত্রাসের নাট্যমঞ্চে। জঙ্গলরাজই নিয়মিত ঘটনা। রাজনৈতিক হিংসা হয়ে উঠেছে শাসনের অস্ত্র। এই ঘটনা রাষ্ট্র-পরিচালিত সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু নয়।’ এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ‘গান্ধীবাদ’ ছেড়ে ‘সুভাষবাদ’ ধরার ডাক দিয়েছেন অরূপ। পুলিশের নীরব ভূমিকা পালন নিয়েও ক্ষুব্ধ তৃণমূল।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ত্রিপুরার ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। একই সুরে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে বিঁধে শশী পাঁজা বলেন, ‘যাঁরা রাজনৈতিক হিংসা এবং আইনের শাসন নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন, ত্রিপুরা নিয়ে তাঁরা কী বলবেন? পুলিশের উপস্থিতিতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার বনমালীপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানো হল। এটা ফ্লপ বিপ্লব দেবের কেন্দ্র, যাঁকে বর্তমানে বিজেপি পুরস্কৃত করেছে।’

    অরূপের নিশানাতেও বিপ্লব দেব। তাঁর আক্রমণ, ‘২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার সময় গায়ের জোরে সকল পঞ্চায়েতকে বিরোধীশূন্য করেছিল। সেদিন থেকে ত্রিপুরার বুকে শুরু হয়েছিল সন্ত্রাস, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিপ্লব দেব। তিনি নিজের দলেই ব্রাত্য। দলের অন্দরে নিজের স্কোর কার্ড বৃদ্ধি করতে তিনি উস্কানি দিয়ে থাকতেও পারেন, কিন্তু আখেরে কোনো লাভ হবে না।’ এরপরই অভিষেকের কনভয়ে হামলা-সহ ত্রিপুরায় অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে অরূপের সংযোজন, ‘ত্রিপুরায় আগেও আমাদের এই লুম্পেনগিরি দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংসদীয় রাজনীতিতে আগুন নিয়ে খেললে নিজেদেরও পুড়ে ছাই হতে হবে।’

    সেই সঙ্গে অরূপ নাম, পরিচয়-সহ অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক বিশাল দেব, জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, যুব মোর্চা ভিকি প্রসাদ। আহত বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মুর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহমর্মিতা প্রদর্শন করলেও, কেন তাঁর উদ্দেশে বারংবার কুমন্তব্য, প্রশ্ন শশীর। মন্ত্রীর কথায়, ‘কোনো প্রমাণ ছাড়া বিজেপি সাংসদের উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলকে দোষারোপ করে হিংসা উস্কে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা রাজ্য বিজেপির দৈন্যকেই স্পষ্ট করে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)