৬ জেলায় বাজি ক্লাস্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু নবান্নর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
আতশবাজিকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মর্যাদা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। রাজ্যে বাজি নির্মাণ প্রক্রিয়া আরও নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও নিয়মতান্ত্রিক করতে এবার পদক্ষেপ করল নবান্ন। প্রথম পর্যায়ে ৬টি জেলায় বাজি ক্লাস্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে জমি। এ বিষয়টি জানিয়ে সারা বাংলা আতশবাজি সমিতির কর্তা বাবলা রায়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আপাতত ৬ জেলায় বাজি ক্লাস্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হলেও ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই কাজ শুরু হবে।
যে ৬টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি। এই সব জেলায় আতসবাজি তৈরির যে সব কারখানা রয়েছে সেগুলি ক্লাস্টারগুলিতে একত্রিতভাবে কাজ করবে। এই ক্লাস্টারে আরও সুরক্ষিত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও প্রসার ঘটবে। এই ক্লাস্টারগুলিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব করা যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয় ৪ জনের। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের অবৈধ আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। এই সব বিস্ফোরণের ঘটনা আতশবাজি শিল্প নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। এরপরই উদ্যোগী হয় রাজ্য। আতশবাজি শিল্পকে আরও নিরাপদ ও উন্নত করতে বাজি ক্লাস্টার গড়ে তোলার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, রাজ্যের এই উদ্যোগের কারণে আতশবাজি তৈরির ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি নিশ্চয়তা পাবে। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানও হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। এছাড়াও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বাজি তৈরির প্রক্রিয়া আরও সহজ করে তুলবে। জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কারখানাগুলি ক্লাস্টার পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে শিল্পের পরিকাঠামো ও মান অনেকটাই উন্নত হবে।
বাজির গুণমান বজায় থাকলে রাজ্যের বাইরেও বাজির চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সারা বাংলা আতশবাজি সমিতি। সমিতির সদস্যদের ধারণা, রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলে বাজি শিল্প নতুন প্রাণ পাবে।