নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা-সহ একাধিক সেতুর ঘোষণা সেচমন্ত্রীর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
ঝাড়গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলার নদীভাঙন, টানা বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি এবং সেচ দপ্তরের চলমান প্রকল্পগুলি নিয়ে বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। জেলা শাসকের সভাঘরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা এবং একাধিক দপ্তরের আধিকারিক।
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের কুলিয়ানা অঞ্চলের মালিঞ্চা গ্রামে নদীভাঙন রোধে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২০০ মিটারের কাজ চলছে। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী আরও ২০০ মিটার অংশেও নতুনভাবে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়ের হিসাব করতে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, জেলা শাসকের উদ্যোগে আগেই ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছিল, যদিও পুজোর সময় থেকে কাজটি স্থগিত রয়েছে।
বৈঠকে মন্ত্রী আরও জানান, ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা অঞ্চলে কংসাবতী নদীর উপর নতুন সেতু তৈরি করা হবে। বর্তমানে এলাকার মানুষকে ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়, যা বর্ষাকালে যাতায়াতে বড় অসুবিধার কারণ হয়। জেলার বিভিন্ন অংশে নতুন সেতু তৈরি ও পুরনো সেতুর সংস্কারের প্রস্তাব দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জলবিপর্যস্ত জেলাগুলিতে প্রশাসনিক বৈঠক করে সেচ ও ত্রাণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। মালিঞ্চা গ্রামে আরও ১২০০ মিটার কাজ হচ্ছে, সঙ্গে বাড়তি ২০০ মিটারও করা হবে। জঙ্গলমহল মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণের জেলা, তাই এখানে কোনও সমস্যাকে তিনি অবহেলা করেন না।’
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে দপ্তরের কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীও। রাইপুরে কংসাবতী সেচনালার ভাঙন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এত বড় ক্ষতির পরও আমার দপ্তর থেকে কোনও রিপোর্ট আমার টেবিলে এল না কেন?’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা সময়মতো ব্যবস্থা নেননি। মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ‘এভাবে অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’