• দুর্যোগে পর্যটনে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা ডুয়ার্সে
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • গত শনিবার রাতের ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। এই আবহে ভরা মরশুমে একের পর এক বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। এই সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ডুয়ার্সেও ছুটি কাটাতে যান অনেকে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হরপা বানে ভেসে গিয়েছে ডুয়ার্সের একাধিক হোটেল–রিসর্ট। এই পরিস্থিতিতে পর পর বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক ট্যুরিজম আসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন।

    নিম্নচাপের জেরে গত শনিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গ সহ নেপাল ও ভুটানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে বেড়ে যায় নদীর জলস্তর। জলের স্রোত ও ধসের কারণে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দার্জিলিংয়ের একাধিক গ্রাম। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিরিক। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের একটা বড় অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভুটানের দিক থেকে গাছপালা, কাঠ, ধ্বংসস্তূপ নিচের দিকে নেমে এসে উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। ধসের কারণে যোগযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ার। হরপা বানে একাধিক হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে ভেসে যায়। শিলামারা নদীর একদিকে রয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও অন্যপাড়ে নদীর পার বরাবর সারি দিয়ে রয়েছে হোম স্টে ও রিসর্ট। শনিবারের বৃষ্টিতে সেগুলি নদীর জলে ভেসে যায়। জল নেমে যাওয়ার পর কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপে ভরে গিয়েছে চারপাশ। বর্তমানে প্রায় জনশূন্য এলাকা। হাতে গোনা যে হোটেল–রিসর্টগুলি পর্যটক থাকার উপযোগী সেখানেও বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    উল্লেখ্য, টি, টিম্বার ও ট্যুরিজম– এই তিন পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ডুয়ার্সের অর্থনীতি। বর্তমানে পর্যটক ও চা শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছেন আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক ট্যুরিজম আসোসিয়েশনের সম্পাদক মানব বক্সী।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)