উৎসবের আবহে শহরে মাদক ছড়িয়ে দেওয়ার ছক! বাজেয়াপ্ত প্রায় তিন কোটি টাকার হেরোইন
প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
অণর্ব আইচ: পুজো মিটতেই বড়সড় সাফল্য বেঙ্গল এসটিএফের। রাজ্যের পৃথক দুটি জায়গায় হানা দিয়ে ২.৮ কেজির হেরোইন বাজেয়াপ্ত করল এসটিএফ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যে চার মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বিপুল এই হেরোইন কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উৎসবের আবহেই শহরে বিপুল হেরোইন ছড়িয়ে দেওয়ার ছক ছিল? পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৭ অক্টোবর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদিয়া জেলার কালিগঞ্জ থানার অধীনে পলাশী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। সেইসময় হাতেনাতে দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, প্যাকেট ভর্তি প্রায় এক কেজি হেরোইন পাচারের সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম হাফিজুল শিকারি, বয়স ৫৩। অন্য আরেকজনের নাম জিবারেল মণ্ডল, বয়স ৬৩। ধৃত দুজনের বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদও।
অন্যদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শনিবার ডানকুনি স্টেশনে হানা দেয় এসটিএফ। বেলুড় জিআরপিকে সঙ্গে চলে বিশেষ এই অভিযোগ। এক্ষেত্রেও হাতেনাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দুজনের নাম মহিরুল বিশ্বাস, বয়স ৬৪ এবং আবিদ পারভেজ, বয়স ৬৬। সূত্রের খবর, ধৃত মহিরুল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে আবিদের বাড়ি ঝাড়খন্ডের সিংভূম এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ১.৮ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে এসটিএফ। কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই মাদক কেন নিয়ে আসা হচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছেন, মাদক ডেলিভারি করতেই নাকি ডানকুনি স্টেশনে আসা। কিন্তু কার কাছে দেওয়ার কথা ছিল তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, বিপুল পরিমাণ এই মাদক নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে ধৃতরা নিয়ে এসেছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, মাদক আইনে দুটি মামলা রুজু করে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় জিআরপি এবং বেঙ্গল এসটিএফ।