সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শূন্যপদে নিয়োগ, বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার ধর্মতলায়। এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের মোট ১১টি সংগঠন মিলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। দুপুরে শিয়ালদহ থেকে মিছিল করে নবান্ন পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু কিছুটা এগোতে না এগোতেই পুলিশি বাধার অভিযোগ ওঠে। আর তাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে যথেষ্ট কড়া ‘অ্যাকশন’ নিয়েছে পুলিশ, যা কাম্য নয় মোটেও। এই অশান্তির জেরে ধর্মতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভিড়ে ভিড়াক্কার। ব্যাহত হয়েছে যান চলাচলও।
একাধিক দাবি আদায়ের জন্য আগেই জোট বেঁধেছিল পার্শ্বশিক্ষকদের ১১টি সংগঠন। তার নাম ‘সমগ্র শিক্ষা বাঁচাও কমিটি’। এই কমিটি আজ অর্থাৎ ৯ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। বেশ কয়েকদফা দাবি নিয়ে নবান্নে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো শিয়ালদহ থেকে দুপুরে মিছিল করে পার্শ্বশিক্ষকদের এই সংগঠনের সদস্যরা এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে এগিয়ে যান। কিন্তু ধর্মতলায় কলকাতা পুরসভার সামনে তাঁদের সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। এগোতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশি বাধা মানতে চাননি মিছিলকারীরা।
পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের বাধা দিলে তা ভেঙে এগোতে চায় পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ। গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন। পুলিশি ‘অ্যাকশন’-এর প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এনিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। আন্দোলনকারীরা পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন। মাঝরাস্তায় তাঁরা সকলে বসে বিক্ষোভ দেখান। পার্শ্বশিক্ষকরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁদের নবান্নে যেতে দেওয়া না হবে, ততক্ষণ এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।