বিধান নস্কর, দমদম: আবর্জনাস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক কিশোরের দেহ। বৃহস্পতিবার দমদমের প্রমোদনগরের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। কীভাবে মৃত্যু? কীভাবেই বা দেহ এল এই আবর্জনাস্তূপে? তা নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য। সেই রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমদম ও বরানগর থানার পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করে দেহ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এর জন্য বন্ধুদের দায়ী করছে পরিবার। তবে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল দমদম এলাকার প্রমোদনগরের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে আবর্জনা ফেলতে গিয়ে সাফাইকর্মীরা ভিতরে একটি দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দমদম ও বরানগর থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম গণেশ সমাদ্দার, বয়স ১৭ বছর। প্রমোদনগরেরই বাসিন্দা গণেশ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গণেশ নিজের বোনকে জানিয়েছিল, সে বন্ধুর জন্মদিনে যাচ্ছে। এই বলে সন্ধ্যা নাগাদ বেরয় বাড়ি থেকে। এরপর গণেশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগও হয় পরিবারের লোকজনের।
কিন্তু পরিবারের দাবি, ওইদিন রাতে বাড়ি ফেরেনি গণেশ। বুধবার সকাল থেকে ফোন সুইচড অফ ছিল, কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার স্থানীয় আবর্জনাস্তূপ থেকে উদ্ধার হয় গণেশের দেহ। মাথায়, মুখে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল বছর সতেরোর ওই কিশোরের? এনিয়ে পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এর নেপথ্যে বন্ধুরাই দায়ী বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে সরেজমিনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।