দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে বেশ কয়েকদিন, লক্ষ্মীপুজোও কেটে গিয়েছে। কিন্তু কলকাতা এখনও যেন উৎসবের পর্দার আড়ালে ঢাকা। উত্তর থেকে দক্ষিণ-পুরো শহর জুড়ে এখনও ঝুলছে বিশাল বিজ্ঞাপনী ব্যানার, হোর্ডিং, বাঁশের মাচা ও আধখোলা মণ্ডপের কাঠামো। পথঘাটে অবরুদ্ধ চলাচল, ফুটপাতে জমে থাকা কাঠামোর ভিড় এই চিত্রে ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সরাসরি আবেদন ও সতর্কবার্তা, পুজো উদ্যোক্তারা,দয়া করে শহরকে স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে দিন। অবিলম্বে সমস্ত ব্যানার ও হোর্ডিং খুলে ফেলতে হবে।
বুধবার পুরসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র জানান, পুজোর শেষ দিন থেকে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও শহরের বহু এলাকাতেই এখনও মণ্ডপের কাঠামো পড়ে আছে। রাস্তার ধারে বাঁশের রেলিং বসানোই রয়েছে, বড় বড় হোর্ডিং ও ব্যানারে ঢেকে আছে মোড় ও চৌরাস্তাগুলিতে। এতে পথচারী থেকে যানবাহন সবাই সমস্যায় পড়ছেন। অনেক জায়গায় ভাঙা কাঠামোর পাশে বাঁশ ফেলে রাখা হয়েছে যত্রতত্র, যা দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।
মেয়র আরও সতর্ক করেছেন পুজো উদ্যোক্তাদের। তিনি বলেন, এখনও শহরে বৃষ্টি হচ্ছে। আধখোলা মণ্ডপ বা মঞ্চে জল জমলে মশা বাড়বে। ডেঙ্গি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু সতর্কতা জরুরি। তিনি স্প্রে ও জীবাণুনাশক ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে বলেছেন, উৎসব শেষে দায়িত্বও পালন করতে হবে। একই সঙ্গে মেয়র এদিন বলেন, ধাপায় আর খোলা ভাগাড় থাকবে না। পুরসভা তৈরি করবে আধুনিক বর্জ্য প্রসেসিং ইউনিট, যা ন্যাশন্যাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে আগামী তিন বছরের মধ্যে তৈরি হবে পুরসভার জমিতেই।