আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) সুপ্রিমো মায়াবতী, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন! পাশাপাশি তাঁর সরকারের অধীনে নির্মিত প্রতিষ্ঠান এবং দলিত স্মৃতিস্তম্ভগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) "দ্বিমুখী" আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন 'বহেনজি'।
লখনউতে বিএসপি-র প্রতিষ্ঠাতা কাশি রামের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে তাঁর আমলে তৈরি জাতীয় পার্ক এবং অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিশ্রুতি পালন করার জন্য প্রশংসা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীনই কেবল এই ধরণের কাজ সম্পাদন করার কথা মনে রাখে।
মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়ে মায়বাতী বলেছেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ করেছি যে, দর্শনার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত টিকিটের টাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হোক। বিজেপি সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, এই অর্থ অন্যত্র ব্যবহার করা হবে না। কেবল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই বিষয়ে বর্তমান সরকার পদক্ষেপও করেছে।। এর জন্য, আমাদের দল এখনকার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।"
অবহেলা করে মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর আমলে তৈরি একাধিক দলিত স্মৃতিস্তম্ভ এবং পার্কগুলিকে সমাজবাদী পার্টি নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। মায়াবতী বলেছেন, "অখিলেশ সরকার দলিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক টাকাও খরচ করেনি। এমনকি টিকিট থেকে সংগৃহীত রাজস্বও সরকার রেখে দিয়েছিল। কিন্তু এখন, যখন তারা ক্ষমতার বাইরে, তখন তারা কাশিরামজির সম্মানে সেমিনার আয়োজনের কথা বলে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে।"
মায়াবতী আরও বলেন, "আমরা কাশিরামজির এবং অন্যান্য মহান নেতাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছি এবং অনেক কল্যাণমূলক প্রকল্প শুরু করেছি, কিন্তু সমাজবাদী পার্টি সরকার সেগুলি সব বন্ধ করে দিয়েছে। যদি এটা দুমোখে চরিত্র না হয়, তাহলে এটা কী?"
তিনি সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবকেও আক্রমণ করে বলেন, যদি তিনি সত্যিই বিএসপি প্রতিষ্ঠাতাকে সম্মান করতেন, তাহলে তিনি আলিগড় বিভাগের কাশিরাম নগর জেলার নাম পরিবর্তন করে কাসগঞ্জ রাখতেন না।
বিএসপি প্রধান এসপি-কে ক্ষমতার লোভে দলিত প্রতীকদের সহযোগিতা করার অভিযোগ করেন। মায়াবতী বলেছেন, "যখন তারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা পিডিএ মহান ব্যক্তিত্বদের মনে রাখেনি। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর মুহূর্তে তারা হঠাৎ করে দলিতদের সাধু, গুরু এবং মহাপুরুষদের মনে রাখতে শুরু করেছে। এই ধরণের দুমুখো ব্যক্তিদের থেকে জনগণকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।"
পিডিএ বলতে "পিচড়ে, দলিত, অল্পসংখ্যা" বোঝায়, যার অর্থ "অনগ্রসর, দলিত এবং সংখ্যালঘু"।
শাসক দলের সঙ্গে তাদের "অভ্যন্তরীণ যোগসাজশ" নিয়ে মায়াবতী এবং তাঁর দলের প্রতি পাল্টা আক্রমণ করেন অখিলেশ যাদব। তিনি কারও নাম না করে বলেন, "ওদের ভেতরে যোগসাজশ অব্যাহত রয়েছে, তাই তারা তাদের নিপীড়কদের প্রতি কৃতজ্ঞ।"