আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএস অফিসার ওয়াই পূর্ণ কুমারের আত্মহত্যার ঘটনায় হরিয়ানা সরকার শীর্ষ পুলিশ কর্তা ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরকে ছুটিতে পাঠাতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই অস্থায়ী ডিজি পদে নতুন কাউকে নিয়োগ করতে পারে সরকার। কারণ, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় চণ্ডীগড়ে নিজের আবাসনের বেসমেন্টে সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন পূর্ণ কুমার। তারপর তাঁর লেখা নয় পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে তিনি ১২ জন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের নাম লিখে বলে গিয়েছেন যে, জাতপাতের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
শীর্ষস্তরীয় সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারের নয় পাতার ওই সুইসাইড নোটে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে। সুইসাইডের কারণ হিসাবে বর্তমান ডিজিপির নাম থাকায় তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় অস্থায়ীভাবে কাজ সামাল দিতে দুজনের নাম ভাবা হচ্ছে।
নিহত আইপিএস অফিসারের পকেট থেকে যে নোট মিলেছে, তাতে জাতিভিত্তিক হেনস্তা, অপদস্থ, শোষণের অভিযোগ রয়েছে। ডিজিপি ছাড়াও ১২ জন পদস্থ অফিসারের কথা উল্লেখ করেছেন পূর্ণ কুমার। কুমার আট জন আইপিএস এবং দু'জন আইএএস অফিসারের নাম লিখে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা দুর্ব্যবহার করতেন, জাত তুলে কটাক্ষ-সমালোচনা করতেন এবং পোস্টিং ও দক্ষতা নির্ধারণে অনিয়ম করতেন।
ওই সুইসাইড নোটের একটি পাতায় উইল আকারে তিনি তাঁর সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আমলা স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছেন। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, এই নোটের ভিত্তিতেই খতিয়ে দেখা হবে, পূর্ণ কুমারের অভিযোগগুলি সঠিক কিনা। সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহতকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়াকেও আপাতত অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হতে পারে। কারণ, ওই নোটে তাঁর নামও রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরের জায়গায় আসতে পারেন ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস ওপি সিং। তিনি বর্তমানে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর ডিজি পদে কর্মরত। আরও একজনের নাম উঠে এসেছে, তিনি হলেন অলোক মিত্তল। অলোক ১৯৯৩ ব্যাচের আইপিএস, বর্তমানে স্টেট ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর এডিজিপি পদে কর্মরত।