প্রাথমিকে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
রাজ্যের লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর কথা ভেবে ১৩,৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী সপ্তাহ থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই বিপত্তি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের বক্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটের প্রশ্নে ‘ভুল’ সংক্রান্ত মামলা এখনও চলছে। সেই মামলা চলাকালীন কীভাবে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে? ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট অনুত্তীর্ণদের একাংশের বক্তব্য, ওই দু’বার টেট পরীক্ষার প্রশ্নে অনেক ভুল ছিল। অন্তত ২০টি প্রশ্নে ভুল ছিল। সেক্ষেত্রে ওই ২০ নম্বর পেয়ে গেলেও তাঁরাও টেট পাশ করে যাবেন। তাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। ইতিমধ্যেই প্রশ্নে ভুল নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে।
কলকাতা হাইকোর্ট ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। রাজ্যের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে সমাধানের জন্য। সেই কমিটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছে। ওই মামলার চূড়ান্ত রায় আসার আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে, বহু যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘ভুল প্রশ্নের নম্বর পেলে অনেক পরীক্ষার্থী পাশ করে যেতেন। অথচ সেই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এতে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করতেই পারবেন না।’ টেট অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁদের বেশিরভাগই ১ অথবা ২ নম্বরের জন্য টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই ২০২৫-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক। অন্যথায় আগের জট না কাটা পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিক আদালত।