সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ইরাকে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা সম্ভব হচ্ছে। ইরাকে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক মফিজুল মণ্ডল বুধবার ঘরে ফিরেছেন। আগামী শনিবার আটকে পড়া আরও তিন পরিযায়ী শ্রমিক ইরাক থেকে ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। তিনি জানান, ওই শ্রমিকদের পাসপোর্ট এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে সেগুলি প্রস্তুত করতে সময় লাগছে।
উল্লেখ্য, একটি এজেন্সির মাধ্যমে দু’বছর আগে ইরাকের এক কারখানায় কাজের জন্য গিয়েছিলেন ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকরা। দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ওই কারখানার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের না ছাড়ায় শুরু হয় সমস্যা। অভিযোগ, ইরাকের ওই কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের আটকে রাখে, মজুরি বন্ধ করে দেয় এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। আট মাস ধরে পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই ঘটনাটি সামনে আসে। ভিডিওতে শ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিরাপদে দেশে ফেরার আর্জি জানান। বিষয়টিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার নিজের সাংসদ কার্যালয়ে ইরাকে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
ওই শ্রমিকদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, “পরিবারের রোজগেরে মানুষজন দেশের বাইরে আটকে থাকায় তাঁদের খাওয়া পরার সংস্থান ছিল না। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন শুধু চাই আমাদের প্রিয়জনরা নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসুক।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।