গ্রহরত্ন রফতানির ব্যবসার আড়ালে বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে কালো টাকা পাচারের মামলায় সল্টলেক, কলকাতা, হায়দরাবাদ এবং আমদাবাদের মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেইডি। বুধবার সকাল থেকেসল্টলেকের সিএফ ব্লকের আবাসনের একটি ফ্ল্যাট এবং কলকাতার কিরণশঙ্কর রায় রোডের একটি অফিসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চলে।
সল্টলেকের সিএফ ব্লকের আবাসনে কে কে ঘোষ নামে পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এক জনের ফ্ল্যাটে এ দিন তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তদন্তকারীরা। তবে, বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটে থাকেন না কে কে ঘোষ। ‘পণ্ডিতজি’ নামে এক ব্যক্তিসেখানে থাকেন। তদন্তকারীদের দাবি, পণ্ডিতজি বিদেশে গ্রহরত্ন রফতানির ব্যবসার এক জনএজেন্ট। সেই ব্যবসায় বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে কালো টাকা বিদেশেপাচার করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তিরফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানে গ্রহরত্ন সংক্রান্ত ব্যবসার বহু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি, পণ্ডিতজিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই ব্যবসায় জড়িত আর এক ব্যক্তির কিরণশঙ্কর রায় রোডের অফিসেও তল্লাশি অভিযান চলে। সেখান থেকেও বহু নথি ও দু’টি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছেবলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের দাবি, গ্রহরত্নরফতানির ব্যবসার আড়ালে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। মূলত নিম্নমানের গ্রহরত্ন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু বেশি দাম দেখিয়ে বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে কালোটাকা পাচার করা হয়েছিল।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের তরফে একটি মামলা দায়েরকরা হয়েছিল। যার ভিত্তিতে দিল্লিরসদর দফতরে ‘ইসিআইআর’দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছেইডি। তদন্তকারীদের কথায়, কলকাতা, হায়দরাবাদ এবং আমদাবাদে ওই চক্রের একাধিক এজেন্ট এবং মধ্যস্থতাকারী রয়েছে। এ দিন সকাল থেকে তাই ওই সব জায়গাতেওতল্লাশি অভিযান চলেছে। তবেচক্রের আসল যারা, অর্থাৎ মাথারা বিদেশে রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।