আজকাল ওয়েবডেস্ক: হুগলির পান্ডুয়ার সাতঘরিয়া এলাকায় বাবার মাথায় গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতঘরিয়া এলাকায় শেখ বসির নামে ৬৪ বছরের এক প্রৌঢ় তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রিকে নিয়ে বসবাস করত। বসিরের বড় ছেলে মারা গিয়েছেন বেশ কিছুদিন আগেই। সাতঘড়িয়াতেই তাঁর আরও একটি বাড়ি আছে। সেখানে বসিরের বড় বৌমা ফরিদা বিবি তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে।
প্রতিদিনের মত শ্বশুর ও শাশুড়ির রান্না করে দিয়ে বসিরের বড় বৌমা তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রতিদিনকার মতো আজও বিকালে রান্নাঘরে রান্না করছিল ফরিদা বিবি, শেখ বশির এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের ঘরে ছিল। বশিরের ছোট ছেলে শেখ মহসিন ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল। আজ তিনি পান্ডুয়ার বাড়িতে ফিরে আসেন। সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে বচসার শুরু হয়।
তখনই ঘরে থাকা পাঁচ লিটারের গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে শেখ মহসিন শেখ, বাবা বশিরের মাথায় মারে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ওই বৃদ্ধ। বৃদ্ধের কান দিয়ে নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। পুলিশ প্রৌঢ়কে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ অভিযুক্ত শেখ মহসিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়, উদ্ধার করেছে পাঁচ লিটারের গ্যাসের সিলিন্ডারটি।
এ বিষয়ে এদিন শেখ বসিরের বড় বৌমা ফরিদা বিবি বলেন, "প্রায়শই তাঁর ছোট দেওর শেখ মহসিন বাড়িতে এসে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করতেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন তাঁর নামে বাড়ি লিখে দেওয়ার কথা বলেন। আজও সেই নিয়েই বিবাদ বেঁধেছিল। তবে এমন ঘটনা ঘটবে বোঝা যায়নি। হঠাৎই রান্নাঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে দেখি, বাবা ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। মহসিন দরজার বাইরে গিয়ে সিলিন্ডারটি ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালাল।"