• কার্যালয় ভাঙচুর: দোষীদের ধরতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল তৃণমূল নেতৃত্ব
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার নিয়ে পুলিসকে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিল বাংলা থেকে আসা দলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার এনসিসি থানায় অতিরিক্ত পুলিস সুপারের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস ব্যবস্থা না নিলেও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। পশ্চিমবঙ্গের নাগরাকাটার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার পর আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছয় দলের ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর রীতিমতো হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি সহ নানা ইস্যুতে সরব হয়েছেন। এফআইআর দায়েরের পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, নাগরাকাটার ঘটনায় কোনওভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। এই ঘটনাকে দল সমর্থনও করে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আহতকে দেখতে গিয়েছেন। অথচ ত্রিপুরার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার 

    করা হয়নি।  সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র আগরতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। 

    এরপরও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হল না? শাসক-দলের মদতপুষ্ট বলেই কি তাদের আড়াল করা হচ্ছে? এদিন তৃণমূলের ধলাই জেলা সভাপতি সুমন দে এফআইআর দায়ের করেন। এতে ঝন্টু সাহা, নকুল দেবনাথ, কানাই সাহা, রামু সাহা, প্রেমচাঁদ পাল, সুমন গাঙ্গুলি, অজয় দাস ও রামু দাস সহ হামলায় জড়িত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নাম রয়েছে। এরইমধ্যে ত্রিপুরা সফরের প্রাক্কালে বিরবাহা হাঁসদার কেক খাওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপির পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। বিজেপির পোস্টে লেখা হয়েছে,  ‘মাননীয়া বিধায়ক বিরবাঁহা হাঁসদা দিদিকে ত্রিপুরা বিজেপির পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনি জন্মদিন উদযাপনের জন্য ত্রিপুরায় এসেছেন জেনে আনন্দিত। আগে জানলে ত্রিপুরার বহু পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে কোনও একটিতে জন্মদিন উদ্‌যাপনের ব্যবস্থা করতাম’। গেরুয়া দলের এধরনের কটাক্ষ রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বীরবাহা। আবেগবিহ্বল গলায় তিনি বলেছেন, ‘আমি তো আদিবাসী। তাই আদিবাসীদের কেক খাওয়া বারণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন দলীয় কার্যালয়ে পালিত হলে কেউ প্রশ্ন তোলে না। কারণ তিনি আদিবাসী নন।’  বৃহস্পতিবার এনসিসি থানায় তৃণমূল প্রতিনিধরা।
  • Link to this news (বর্তমান)