• শীঘ্রই ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বইয়ে বড় বার্তা স্টারমারের
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • মুম্বই: ভারত আর ব্রিটেন ‘স্বাভাবিক’ সহযোগী। এই কঠিন সময়ে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক অগ্রগতির স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বৈঠকের পর মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন স্টারমার। ভারতকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। একইসঙ্গে স্টারমার জানান, শীঘ্রই ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মৃত অর্থনীতি’ কটাক্ষের পাল্টা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন লেবার নেতা। সব মিলিয়ে প্রথম ভারত সফরেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ইঙ্গিত দিলেন স্টারমার।

    গত জুলাইয়ে ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তি কার্যকর হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। একইসঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এদিনের বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মোদি-স্টারমার। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাঁরা। সেখানে মোদি বলেন, ‘ভারত-ব্রিটেন স্বাভাবিক সহযোগী। আজকের অস্থির সময়ে এই অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ। দু’দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

    এদিন হিন্দিতে নিজের ভাষণ শুরু করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তিনি। তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ভারতের এই যাত্রায় আমরা তাদের অংশীদার হতে চাই।’ উল্লেখ্য, শুল্ক যুদ্ধের সময় ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’র দেশ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুম্বইয়ের মঞ্চে ট্রাম্পের নাম না করে তারই জবাব দিলেন স্টারমার। 

    ইতিমধ্যে গুরুগ্রামে ক্যাম্পাস খুলেছে ইউনিভার্সিটি অব সাদাম্পটন। এবার ভারতে ক্যাম্পাস করার অনুমতি পেল ল্যাঙ্কাস্টার ও সারে বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর এই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ইয়র্ক, অ্যাবারডিন, ব্রিস্টল, লিভারপুল, কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস খুলতে পারে কুইন্স কলেজ অব বেলফাস্টও। 

    এবিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ভারতে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ব্রিটেন যে সবথেকে বেশি কাজ করছে, তা আজকের ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি আমরা।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)