বিহার ভোটের আগে ‘স্লোগান যুদ্ধ’ শুরু এনডিএ-র অন্দরে, যুযুধান জেডিইউ-বিজেপি শিবির
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোটযুদ্ধের আগে স্লোগান যুদ্ধ। এনডিএ বনাম মহাজোটের স্লোগান যুদ্ধই প্রত্যাশিত। তা হচ্ছেও। কিন্তু বিহারে ভোটের আগে স্লোগানের আড়ালেই এনডিএ জোটের মধ্যে লড়াইয়ের আভাস! সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) অর্থাৎ নীতীশ কুমারের দল হঠাৎ নতুন স্লোগানে বিহারের আকাশ বাতাস আলোড়িত করেছে—‘পচ্চিস সে তিস, ফির সে নীতীশ’। অর্থাৎ ২০২৫ থেকে ২০৩০,আগামী পাঁচ বছর আবার নীতীশ কুমারই হবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত এই ভোটে লড়ছে এনডিএ। সেই জোটের অন্যতম প্রধান শক্তি বিজেপি। সেখানে বিজেপির কোনও নাম উল্লেখ না করাটা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিহারে এনডিএ সরকার গঠিত হলে নীতীশ কুমারই যে আগামী পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, এই বার্তা আদতে বিজেপিকেই দিচ্ছে সংযুক্ত জনতা দল।
জেডিইউয়ের এই স্লোগানের ধাঁচেই পাল্টা স্লোগান তৈরি করেছে বিজেপিও। তবে বিজেপির স্লোগান—‘পচ্চিস সে তিস, নরেন্দ্র অর নীতীশ’। অর্থাৎ বিজেপিও পালটা বুঝিয়ে দিয়েছে, বিহারে নীতীশ কুমার একাই রাজা এবং চালিকাশক্তি এমন নয়। মোদি এবং নীতীশ দু’জনের কৃতিত্ব সমান। আর শুধু এই স্লোগানই নয়, কেন্দ্র ব্যতীত যে বিহারে নীতীশ কুমার একক সাফল্য পাবেন না, তা প্রমাণ করতে বিজেপির পরবর্তী স্লোগান—‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার, সবাক সাথ সবকা বিশ্বাস’।
বিহারে সংযুক্ত জনতা দলের আশঙ্কা, ভোটে নীতীশ কুমারকে সামনে রেখে নির্বাচন জয়ের পর সরকার গঠন করা হয়ে গেলে, নীতীশ কুমারকে গদি থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য মুখ্যমন্ত্রী বসানো বা আড়াই বছরের ফর্মুলা তৈরির চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। অর্থাৎ আড়াই বছর নীতীশ কুমার ও পরবর্তী আড়াই বছর বিজেপির কোনও নেতা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত বিজেপি বিহারে সরকারের অঙ্গ হয়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেনি। তাই মোদির আমলেই বিহারে একবার গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী দেখা বিজেপির সুপ্ত বাসনা। অর্থাৎ আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর নির্বাচনের সঙ্গেই যুদ্ধ সমাপ্ত হচ্ছে না। ভোটে জয়ী হলে এনডিএ’র অভ্যন্তরে শুরু হতে পারে এক নতুন রাজনৈতিক লড়াই।