• বিহারে বাদ যাওয়া ভোটারদের নিখরচায় আইনি সহায়তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়ে গেলেও ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার নাগরিকদের ভোটাধিকার ফেরানোর উদ্যোগ নিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিহারের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের নির্দেশ, কমিশনের চূড়ান্ত তালিকায় নাম বাদ পড়া নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন। তবে যেহেতু মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিনের আগেই আবেদন করতে হয়, সেজন্য হাতে সময় কম। তাই বিহারের স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে এ ব্যাপারে সহায়তা করবে। 

    তাদের জেলাস্তরের দপ্তর ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনের কাজে সাহায্য করবে। এবং তা বিনামূল্যে। প্যারালিগাল ভলান্টিয়ারদেরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। তাঁরা নাম বাতিলের কারণ খতিয়ে দেখে ফের তালিকায় তোলার কাজে সাহায্য করবেন। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, যোগ্য ভোটাররা যাতে বাদ না যায়। শুনানির পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সূর্য কান্ত কমিশনের উদ্দেশে বলেন, বিহারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গোটা দেশে এসআইআর করতে পারবেন। তখন যেন সেই ভুল না হয়। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।  

    এদিনের শুনানিতে মূল আবেদনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসে (এডিআর)র পক্ষে আ‌ইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সওয়াল করেন। অন্য আবেদনকারীদের হয়ে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভির মতো দুঁদে কৌসুঁলিও। নাম বাদ পড়ার পর কেন সঠিকভাবে আবেদন করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি। পাল্টা প্রশান্ত ভূষণ জানান, আবেদন হয়েছে। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। বাদ পড়া ৩ লক্ষ ৬৬ হাজারের নামও জানায়নি কমিশন। তাঁর প্রশ্ন, এত লুকোনোর কি আছে? 

    যদিও নির্দিষ্ট ফরম্যাট মেনে নাম তুলতে কেউ আবেদন করেছেন, সে সম্পর্কে  সঠিক তথ্য দেখাতে না পারায় আদালতের মৃদু সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আবেদনকারীর আইনজীবীকে। শুনানির পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর মন্তব্য, শহুরে উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ভোটদানে অনীহাই বেশি দেখা যায়। তবে প্রকৃত ন্যায়ের দাবিতে একজনও আবেদন করেছেন, এমনটা দেখান। শুনানিতে অন্যতম আবেদনকারী সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদবের অভিযোগ, ১৭ লাখ মহিলা ভোটারের নাম নেই। অনেক বাড়িতে ১০ জন করে ভোটার। ৪ লক্ষ ২১ হাজারের ঠিকানায় গোলমাল আছে। ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ডুপ্লিকেট নামও রয়েছে। ছ’হাজারের কিছু বেশি প্রথমবার ভোটারের বয়স ৮০ বছরের বেশি। নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়া মোট ২১ লক্ষ ভোটারের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ ১৮ বছর বয়সী। ফলে এসআইআর নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)