নয়াদিল্লি: জুতো কাণ্ড নিয়ে আর জলঘোলা চাইছেন না প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ওই ঘটনা আমাকে এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনকে মর্মাহত করেছে। কিন্তু বিষয়টিকে ‘ভুলে যাওয়া অধ্যায়’ হিসেবেই দেখা উচিত।
গত সোমবার প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন ৭১ বছরের আইনজীবী রাকেশ কিশোর। তাও আবার শুনানি চলাকালীন। এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফে কোনও অভিযোগ না আসায় তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু এবার বেঙ্গালুরুর বিধানসৌধ থানায় অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। বেঙ্গালুরুর অল ইন্ডিয়া অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এক আইনজীবী অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর মতে, এই ঘটনাটি বিচার ব্যবস্থার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩২ এবং ১৩৩ ধারায় আইনজীবী রাকেশের বিরুদ্ধে ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনও (এসসিবিএ)। বৃহস্পতিবার তাঁর সদস্যপদ বাতিলের কথা জানিয়েছে এসসিবিএ। এরপর থেকে রাকেশ কিশোর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতির উপর হামলাকে ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা’র উপর সরাসরি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টার ঘটনাটি নিয়ে এআই ভিডিও করার অভিযোগে নভি মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এআই ভিডিও তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।