• আমগুড়িতে ভিড় বাড়ছে বহিরাগতদের খাবারের দোকান খুলে আয়ের খোঁজ
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: দুর্যোগ পরিস্থিতির জেরে এলাকার কী অবস্থা, মানুষ কেমন আছে? এটা জানতে বহিরাগত কৌতূহলী লোকজনের ভিড় বাড়ছে ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইরে থেকে লোকজনের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। জলঢাকা নদীর চর থেকে শুরু করে যেসমস্ত এলাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে কেউ ত্রাণ নিয়ে আসছেন, দুর্গতদের যন্ত্রণার কথাও শুনছেন। আবার কেউ মোবাইলে ছবি, ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছেন। আর এই ভিড়ের কারণে কয়েকজন অস্থায়ীভাবে বিক্রি করছেন জিলিপি, পিঁয়াজি, পান। আইসক্রিম, ঝালমুড়িও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা।

    অপরদিকে, দুর্গত এলাকায় থাকা আত্মীয়, পরিজনদের খোঁজ নিতে বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের পরিজনরা। তাঁদের কেউ নিয়ে আসছেন চিঁড়ে, গুড়। কেউ আবার ভাত-ডাল-সবজি রান্না করে নিয়ে আসছেন। 

    লক্ষ্মীরহাট থেকে বৃহস্পতিবার আত্মীয়র বাড়ি এসেছিলেন নিয়তি রায়। তিনি বলেন, ভাত-ডাল-সবজি-মাছ রান্না করে এনেছি। বক্সিরডাঙা থেকে আসা মমতা রায় বলেন, আমিও আত্মীয়র বাড়ি খাবার নিয়ে এসেছি। ওঁদের খাইয়ে বাড়ি যাওয়ার আগে গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলি দেখে গেলাম। রাজেন রায় বলেন, আমার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিনমজুরির কাজ করি। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। সেই কারণেই খাবারের দোকান দিয়েছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আর একজন বিনোদ রায়ের কথায়, আমি কাঠের কাজ করি। কিন্তু এখন কাজ নেই। সে কারণেই পানের দোকান দিয়েছি। অনিল রায় বলেন, আমাদের বাড়িতেও জল উঠে গিয়েছিল। দিনমজুরির কাজ করি। এখন আমাদের এলাকায় বহিরাগত প্রচুর লোক আসছে। ভিড় দেখেই পানের দোকান দিয়েছি। 

    দুর্গতদের সাহায্য করতে ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলি শুধু নয়, বাঁধের পাড়ে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের ত্রিপলের সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ সেলফি, ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। ময়নাগুড়ি শহিদগড় হাইস্কুলের শিক্ষক দীপক চক্রবর্তী বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতির সময় ছবি তোলা কাম্য নয়। সুভাষনগর হাইস্কুলের শিক্ষক আনন্দ দাম বলেন, মনুষ্যত্ব হারাচ্ছেন অনেকে।  বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি কতটা, দেখতে আসছেন অনেকে। বসেছে অস্থায়ী খাবারের দোকান। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)