তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: স্রোত কমতেই দ্রুত গতিতে চলছে বালাসন নদীর উপর হিউম পাইপ দিয়ে ডাইভারসন তৈরির কাজ। রবিবারের পরে সেই অর্থে আর পাহাড়ে বৃষ্টি হয়নি। তাই জল কিছুটা কমেছে। এমন অবস্থায় পূর্তদপ্তর এলাকায় বিকল্প রাস্তা তৈরি কাজে নেমেছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা পরিদর্শন করার পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের পাশেই ১৫ দিনের মধ্যে হিউম পাইপ বসিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তাই কাজে ঝাঁপিয়েছেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।
প্রথমদিকে কাজ শুরুর সময় তীব্র জলস্রোতের কারণে একটি হিউম পাইপ ফেলে সেটিকে ধরে রাখতে সমস্যায় পড়ছিলেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। তবে জলের স্রোত কমার পর থেকেই ধীরে ধীরে সেই জায়গায় হিউম পাইপগুলি পরপর ফেলে ডাইভারসন তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। যাতে কোনও ভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজ করতে গিয়ে অঘটন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। এই কাজে শ্রমিকরা লাইফ জ্যাকেট পরে কাজ করছেন।
অন্যদিকে, দুধিয়া লোহাপুল সংলগ্ন এলাকাতেই আছে সেনাবাহিনীর শুটিং এরিয়া। সেখানেই প্রতিদিন বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে নিশানা পরীক্ষা করতেন বাহিনীর জওয়ানরা। তবে বর্তমানে ওই পুলটি ভেঙে যাওয়ার কারণে তাঁদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুত বিকল্প রাস্তা হলে আগামীতে ফের শুটিং এরিয়াতে তাঁরা যেতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।
দুধিয়ার বাসিন্দারা বলেন, বালাসন নদীতে জলের স্রোত কমতেই পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরা বিকল্প সেতুর কাজ জোরকদমে শুরু করেছেন। যা দেখে স্বস্তি ফিরছে তাঁদের। তবে এখনও তাঁরা শক্তপোক্ত বাঁধের দাবিতে অনড়। পূর্তদপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, দ্রুততার সঙ্গে ডাইভারসন তৈরির কাজ চলছে। ১৫ দিনের মধ্যে এটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ৪০টিরও বেশি হিউম পাইপ বসিয়ে এই কাজ করা হবে। নিজস্ব চিত্র।