• কুমারগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবীজ, সার দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: বৃহস্পতিবার কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা-বারোবিশা ২ পঞ্চায়েতের মাঝেরডাবরির বিষ্ণুনগর কলোনি পরিদর্শন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক, আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা, কুমারগ্রামের বিডিও রজতকুমার বলিদা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুলি লামা সহ অন্য সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এদিন দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে শস্যবীজ ও সার বিতরণ করা হয়। 

    গত রবিবার উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জল বেড়ে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মাঝেরডাবরির বিষ্ণুনগর কলোনিও সংকোশ নদীর জলে প্লাবিত হয়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বহু বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল। মাথায় হাত পড়ে কৃষকদের। বুধবার কুমারগ্রাম ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষ্ণুনগর কলোনির দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করা হয়। বৃহস্পতিবার এলাকায় আসেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তিনি ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন। এরপর এক অনুষ্ঠানে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে শস্যবীজ ও সার তুলে দেন মন্ত্রী সহ অন্যরা। 

    পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে এসেছি। এলাকার কৃষকদের খুব ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরদির্শন করেছি। কৃষকদের হাতে বীজ ও সার তুলে দেওয়া হল।

    রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বন্যায় এই এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের বলব, আপনারা চিন্তা করবেন না, রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে। আমাদের এই এলাকার নদীগুলি ভুটান থেকে নেমে এসেছে। আমরা বারবার ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন তৈরির কথা বলছি। কিন্তু কেন্দ্র কর্ণপাত করছে না। যৌথ নদী কমিশন তৈরি হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। সুরক্ষিত থাকতে পারব। বিষয়টি আবার সংসদে তুলে ধরা হবে। • মাঝেরডাবরির বিষ্ণুনগরে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)