ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও যাতায়াতে খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর কাটা বাঁধ ভেঙে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। নৌকা ও টোটোই ভরসা দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুরের বাসিন্দাদের। মানিকচকে যাতায়াতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন দু’টি অঞ্চলের বাসিন্দারা। কবে যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে, সেই আশায় দিন গুনছেন দুই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। যদিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। মানিকচক ব্লকের ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুরে কাটা বাঁধ। আগস্টে ফুলহার নদীর জলের স্রোতে বাঁধ ভেঙে ভূতনিতে তৈরি হয় বন্যা পরিস্থিতি। জলমগ্ন হয় তিনটি অঞ্চল। প্রায় দেড় মাস জলমগ্ন থাকে তিনটি পঞ্চায়েত। ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লক্ষাধিক মানুষ। তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন স্বস্তিতে ভূতনির বাসিন্দারা। কিন্তু দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুরের সঙ্গে মানিকচকের সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ। এই দুই পঞ্চায়েতের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বেশকিছু বেসরকারি নৌকাও চলাচল করে এখানে। গত দু’মাস ধরে নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করছেন দুই পঞ্চায়েতের প্রায় এক লক্ষ বাসিন্দা। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার মানুষ এবং এক হাজার বাইক পারাপার হয়। সরকারি নৌকায় মানুষের কোনও ভাড়া না নেওয়া হলেও যানবাহন নৌকায় তুললেই বাড়তি ২০ টাকা নেওয়া হয়। অন্যদিকে, বেসরকারি নৌকায় সাধারণ মানুষের ১০ টাকা এবং বাইকের জন্য ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। তার ওপর রয়েছে টোটোর ভাড়া, যা প্রায় ৪০ টাকা। বাঁধ ভাঙার আগে দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হিরানন্দপুর থেকে মানিকচকে যাতায়াত করলে ৪০ ও ৫০ টাকায় হয়ে যেত, সেই জায়গায় এখন প্রায় ১০০ টাকা লাগছে। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি নৌকা দেওয়া হয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ মানুষ বেসরকারি নৌকায় টাকা দিয়ে পারাপার করে। প্রথম দিকে যাত্রী পারাপারে ভাড়া না হলেও এখন দিতে হচ্ছে। গত দু’বছর একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসন যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুক। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রানি মণ্ডল বলেন, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতা থেকে বিশেষ দল এলাকা পরিদর্শনে আসবে। তারপর অস্থায়ীভাবে বাইক ও টোটো চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে দক্ষিণ চণ্ডীপুর কাটা বাঁধে লকগেট করে স্থায়ী যাতায়াতের ব্যবস্থা হবে। ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুরে কাটা বাঁধ ভেঙে বিচ্ছিন্ন সড়কপথ। ভরসা নৌকা।-নিজস্ব চিত্র