• বহু জলাশয় আবর্জনা ও কচুরিপানায় বেহাল, সংস্কার চান সিউড়ির বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: কোথাও কচুরিপানার আড়ালে পুকুর মুখ লুকিয়েছে, আবার কোথাও আবর্জনায় তা ভরাট হওয়ার মুখে। সিউড়ি শহরের একগুচ্ছ পুকুরের এখন এমনই দশা। এবিষয়ে পুরসভা কোনও পদক্ষেপ না করায় শহরের পরিবেশপ্রেমী ও বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।

    সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। কোথাও অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হয়। প্রয়োজনে আমরা আইনি সহায়তা নেব। জেলার সদর শহরে প্রায় ১১৫টি জলাশয় রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি পুকুর বাদ দিলে বেশিরভাগই ব্যক্তিমালিকানাধীন। কিন্তু, শহরের সিংহভাগ পুকুর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশায় রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের প্রায় অর্ধেক পুকুর বেহাল। কিন্তু, এবিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

    সিউড়ি শহরের পুরাতন লাইন লাগোয়া দু’টি পুকুরে কচুরিপানা জমে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। মৌমাছি মোড় লাগোয়া একটি পুকুরেও একই ছবি দেখা যায়। শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় এমন বেহাল জলাশয় আছে। সিউড়ির বাসিন্দা বাপি দাস, গোপাল দত্ত বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই সমস্ত পুকুর সংস্কার করা খুব প্রয়োজন। পুকুরে আবর্জনা ও কচুরিপানা যেমন রয়েছে, তেমনই শহরের অনেক পুজোর প্রতিমাও এসমস্ত জলাশয়ে নিরঞ্জন করা হয়। সেগুলিও ঠিকসময়ে তোলা হয় না। ফলে শহরজুড়ে জলাশয় দূষিত হচ্ছে।

    পরিবেশপ্রেমীরা জানালেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, ভূগর্ভস্থ জলস্তর ‘রিচার্জ’ করতে জলাশয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শহরের বাসিন্দা তথা স্কুলশিক্ষক সন্দীপন রায় বলেন, পুকুরে আবর্জনা ও কচুরিপানা জমে থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা দিয়েছে। পরিবেশরক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেও এসমস্ত পুকুর যাতে সংস্কার হয়, সেবিষয়ে পুরসভার পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
  • Link to this news (বর্তমান)