বিনিয়োগের ফাঁদে ২১ লক্ষ টাকা, প্রতারিত সল্টলেকের চিকিৎসক
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শেয়ার ট্রেডিংয়ের ফাঁদে পা দিয়ে ২১ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন সল্টলেকের এক চিকিৎসক। এ ব্যাপারে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁকে প্রতারকরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে প্রলোভন দেখান। তারপর বিনিয়োগ করার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। কিছুদিন আগেই বিদেশি সংস্থায় শেয়ার ট্রেডিংয়ের ফাঁদে পড়ে নিউটাউনের এক ব্যবসায়ী ২১ কোটি টাকা খুইয়েছিলেন। রোজই কোনও না কোনও মানুষ এই ফাঁদে পড়ছেন। পুলিশ ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, অন্যান্য ক্ষেত্রে সাইবার প্রতারণার শিকার প্রবীণরা বেশি হলেও, শেয়ার ট্রেডিংয়ের ফাঁদে তরুণ থেকে মধ্যবয়সিরাই বেশি পড়ছেন।
১ আগস্ট ওই চিকিৎসককে প্রতারকরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেন। তারপর একটি অ্যাপও ডাউনলোড করান। উচ্চ রিটার্নের আশায় তিনি বিশ্বাস করে প্রথমে প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ফেলেন। একমাস পর ৯ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে ইউকে ভিত্তিক একটি সংস্থার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন। তখন তিনি বিদেশি সংস্থায় আরও ৬ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেন। প্রতারকরা ১ অক্টোবর তাঁকে জানান, তাঁর বিনিয়োগ করা অর্থ মুনাফা সহ বেড়ে ৪৬ লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কোনও টাকাই তিনি তুলতে পারেননি। তখন তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওয়েবসাইট, শেয়ার ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের সবই ভুয়ো ছিল।
অন্যদিকে, ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে নিউটাউনের এক ব্যক্তি ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খুইয়েছেন। প্রতারকরা নিজেদের একটি সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ২০ লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন ও প্রসেসিং ফি’র নাম করে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি ঋণের টাকা পাননি। কিন্তু, প্রসেসিং ফি বাবদ দেওয়া টাকাও ফিরে পাননি। তারপরই তিনি বুঝতে পারেন যে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।