পুজোর অস্থায়ী বিজ্ঞাপন খুলতে আজ রাত থেকেই অভিযানে নামছে পুরসভা
বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর সময় রাস্তার দু’ধারে অস্থায়ী বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারের ওই কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে পুজোকেন্দ্রিক বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বা ব্যানার খোলা নিয়ে কড়াকড়ি করছে কলকাতা পুরসভা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে হোর্ডিং-ব্যানার না খোলায় একাধিক বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাকে জরিমানাও করা হয়েছে। এবছরও পুরসভা নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিল, দুর্গাপুজোর দশমীর পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই ধরনের সব বিজ্ঞাপন খুলে ফেলতে হবে। সেই মতো এবার শহরে অনেকাংশেই পুজোর অস্থায়ী বিজ্ঞাপন খুলে ফেলা হয়েছে। শ্যামবাজার, খান্না, হাতিবাগান, মানিকতলা, কাঁকুড়গাছি, উল্টোডাঙা, শিয়ালদহ, বেলেঘাটা, ই এম বাইপাস, মৌলালি থেকে এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি সরে গিয়েছে। কিন্তু শহরের অনেক জায়গায় বিজ্ঞাপনগুলি এখনও খোলা হয়নি। কোথাও কোথাও হোর্ডিং সরানো হলেও বাঁশের কাঠামো রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পুরকর্তারা মনে করছেন, মোটা টাকা জরিমানার ভয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা ও পুজো কমিটিগুলি অনেকাংশেই পুজোকেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছে। তবে কালীঘাট, ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, রানিকুঠির রাস্তায় এখনও চোখে পড়ছে এই ধরনের বিজ্ঞাপন। তাই, আজ শুক্রবার রাত থেকে সেগুলি খুলতে অভিযানে নামছে পুরসভা।
গড়িয়াহাট বা উল্টোডাঙা মেইন রোডের অস্থায়ী বিজ্ঞাপন খুলে ফেলা হলেও বাঁশের কাঠামো রয়ে গিয়েছে এখনও। সেগুলি ফুটপাত এবং রাস্তার ডিভাইডার আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। এর ফলে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। আবার রাসবিহারী, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি, হাজরা, বালিগঞ্জে রেলিংয়ের গায়ে এখনও ঝুলছে পুজোর পোস্টার। গড়িয়া, গোলপার্ক, ঢাকুরিয়া, খান্না ইত্যাদি এলাকায় রাস্তার ধারে ‘নো এন্ট্রি’ লেখা গার্ডরেল চোখে পড়ছে। এই অবস্থায় আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে পুর-অভিযান। আপাতত ই এম বাইপাস ও ধর্মতলা থেকে চৌরঙ্গী, পার্ক স্ট্রিট ধরে এক্সাইড, গুরুসদয় রোড, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন রাস্তা থেকে পুজোর বিজ্ঞাপনগুলি খোলা হবে। নির্দেশ অমান্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন এজেন্সিকে বিজ্ঞাপন ফি’র তিন গুণ জরিমানা করতে চলেছে পুরসভা। পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক অফিসারের কথায়, ‘সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও একটি নোটিশ করা হয়েছিল বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলিকে। বাড়তি দু’দিন দেওয়া হয়। অনেকেই হোর্ডিং, ব্যানার খুলে নিয়েছে। যারা কথা শোনেনি, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’-নিজস্ব চিত্র