• জনপ্রিয় মণ্ডপের পাশেই বিষাক্ত খাবারের স্টল, ধরল পুরসভা
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়: কলকাতার কিছু জনপ্রিয় মণ্ডপ ঘিরেই পুজোর দিনে গজিয়ে উঠেছিল বিষাক্ত খাবারের ব্যবসা। পুজোর মরশুমে খাবারে ভেজাল ধরতে গিয়ে এমন বিষাক্ত খাবারের সন্ধান পেয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই ধরনের বিষাক্ত খাবারের বেশির ভাগটাই ছিল বিরিয়ানি। ধরা পড়া মাত্রই ওই খাবার বিক্রি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়।

    পুজোর দিনে দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর, দেশপ্রিয় পার্ক, বালিগঞ্জ এলাকায় একাধিক জনপ্রিয় মণ্ডপ ঘিরে বিভিন্ন খাবারের স্টল বসেছিল। এই রকম খাবারের স্টল থেকে মোট ১৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি অফিসাররা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে আটটি নমুনা এতটাই নিম্নমানের ছিল যা কার্যত বিষাক্ত। কেউ খেলে খাদ্যের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা ছিল প্রবল। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই পুরসভার ফুড সেফটি অফিসাররা ওই সব দোকান থেকে খাবার বিক্রি বন্ধ করে দেন। সংশ্লিষ্ট পুজো উদ্যোক্তাদেরও ওই দোকান সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

    কী কী বিষাক্ত উপাদান মিলেছে খাবারে? পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বিরিয়ানিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এমন সব রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয়েছিল যা খাবারে ব্যবহার করা যায় না। ওই রং মানুষের শরীরে ঢুকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্বাদ বাড়াতেও খাবারে বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে, যা মানুষের শরীরে গেলে অন্ত্র এবং ত্বকের সমস্যা বাড়ায়। ফুড সেফটি অফিসারদের বক্তব্য, পুজোর দিনে সব থেকে গন্ডগোলের খাবার ছিল বিরিয়ানি। স্বাদ বাড়াতে এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে বিরিয়ানি বানানোর সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মের গরমিল হয়েছে বলে তাঁদের পর্যবেক্ষণ।

    পুজোর চার দিনে খাবারে ভেজাল ধরার জন্যে ভ্রাম্যমাণ ইউনিট নিয়ে কলকাতা পুরসভার খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ অভিযান চালায়। গাড়ির ল্যাবরেটরিতেই খাবারের নমুনা পরীক্ষা করে দোকানদারদের রিপোর্ট ধরিয়ে দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে। খাদ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘যাঁদের কাছে নিম্নমানের খাবার মিলেছে, সেই সব দোকানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)