'মুখ্যমন্ত্রীও আইনের ঊর্ধ্বে নন...' মমতার SIR হুমকিতে ব্যবস্থার দাবি শুভেন্দুর
আজ তক | ১০ অক্টোবর ২০২৫
বৃহস্পতিবারই বঙ্গে SIR নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারিকে ঘিরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কমিশনের কাছে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীও আইনের ঊর্ধ্বে নন।'
এ দিন তিনি বলেন, 'আমি অনুরোধ করছি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এবং বাসভবনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হোক। কারণ, তিনি একটি আইনশৃঙ্খলাবিহীন রাজ্যে হুমকির মুখে পড়েছেন। ECI-এর উচিত অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার অখণ্ডতা রক্ষা পায়। এবং একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে মুখ্যমন্ত্রীও আইনের ঊর্ধ্বে নন।'
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?
বৃহস্পতিবার SIR এর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-র নাম করে NRC হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আর এমনটা হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
শুধু তাই নয়, বিএলওদের ডেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের ইচ্ছেমতো কাগজ তৈরি করতে বলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন মমতা। এই সবকিছুর পিছনে দিল্লির একজন মীরজাফরের হাত আছে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই মীরজাফর নিজেও দুর্নীতিতে যুক্ত বলে তাঁর অভিযোগ।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুজোর পর অসম সরকার NRC-র নোটিস পাঠাচ্ছে। SIR-র নাম করে NRC করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ধিক্কার। একজন মীরজাফর আছেন দিল্লিতে। NRC নিয়ে খেলার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আগুন জ্বলবে। গায়ের জোরে বাংলা দখল করতে পারবেন না। বাংলার মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে না। বাংলাকে আপনারা বঞ্চিত করেছেন। বাংলার সব প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন।'
এছাড়াও মমতার প্রশ্ন ছিল, 'এক বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন যে ১.৫ কোটি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে? তার মানে কি এই পরিকল্পনা বিজেপি অফিসে তৈরি করা হয়েছে? আর নির্বাচন কমিশন স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করবে? ওরা বাদ দেওয়ার কে?'
তাঁর আরও দাবি, 'এখন ভোট নয়, তাও কেন নির্বাচন অফিসারদের ডেকে বৈঠক? নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিয়োগ। দু'মাসের মধ্যে মানুষ কীকরে তথ্য দেবে? বর্ষা, বন্যায় মানুষের সব নথি ভেসে গেছে।'
আর মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হলেন শুভেন্দু। তিনি নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন।