শুক্রবার সকাল সকাল কাজে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর আমেজ বিদায় নিতে কলকাতার উত্তরে নাগেরবাজারে হানা দিয়েছে ইডি। দীপক দে নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য শ্যামনগর রোডে শোভনা অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। দাবি করা হচ্ছে এই দীপক দে একটি স্কুলের মালিক। এলাকাতেও তাঁর বেশ নামডাক, পরিচিতি আছে। তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।
রিপোর্টে বলা হয়, আজ সকাল হতে না হতেই অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ইডির অফিসারদের দলের সঙ্গ রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এদিকে সকাল সকাল শোভনা অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের। কারণ বারবার দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকা হলেও অ্যাপার্টমেন্টের ভিতর থেকে কোনও সাড়া মিলছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পরে অ্যাপার্টমেন্টের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ভিতরে ঢোকেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, যে দীপক দে-র বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে, তিনি জিডি গোয়েঙ্কা পাবলিক স্কুলের মালিক। এছাড়াও প্রোমোটিং, বিল্ডার্সের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। প্রাথমিক ভাবে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দীপকের বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও চলছে বলে জানা গিয়েছে। দীপক দে নিজের বাড়িতেই আছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ফ্ল্যাটে আছেন তাঁর মা, দুই সন্তান। দীপক দে-র এক ছেলেই আজ ফ্ল্যাটের দরজা খুলে দিয়ে ইডিকে ঢুকতে দিয়েছিলে। কয়েক ঘণ্টা ধরে এই তল্লাশি অভিযান এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে বুধবার সকালেও শহরে অভিযানে নেমেছিল ইডি। গ্রহরত্ন রফতানির ব্যবসার আড়ালে বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে কালো টাকা পাচারের মামলায় সল্টলেক, কলকাতা অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এছাড়া দেশের অন্যান্য শহরেও এই একই মামলায় সেদিন অভিযান চালিয়েছিল ইডি। কলকাতার পাশাপাশি হায়দরাবাদ এবং আমদাবাদে মোট ১২টি জায়গায় সেদিন তল্লাশি চলেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদিন সল্টলেকের সিএফ ব্লকের আবাসনের একটি ফ্ল্যাট এবং কলকাতার কিরণশঙ্কর রায় রোডে হানা দিয়েছিল ইডি।