সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল অযোধ্যায়। বাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণের জেরেই সকলের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলেও আশঙ্কা। গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য, মাত্র একদিন আগেই যোগীরাজ্যের কানপুরে একটি দোকানে বিস্ফোরণ ঘটে। এবার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে অযোধ্যার পাগলাভারি গ্রামের একটি বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে যায় বাড়িটি। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। আরও বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ঘরে আতশবাজি বা অন্যান্য বিস্ফোরক পদার্থ ছিল না। সম্ভবত প্রেশার কুকার বা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। অযোধ্যার জেলাশাসক নিখিল টিকারাম ফুন্দের মতে, একমাত্র ফরেনসিক টেস্টের পরেই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে। ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। আহতদের চিকিৎসা এবং উদ্ধারকাজ যথাযথভাবে করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও। বিস্ফোরণের যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবারই কানপুরে একটি দোকানে বিস্ফোরণ হয়। আটজন জখম হন, ধ্বংস হয়ে যায় দুটি স্কুটার। সেখানেও পুলিশের দাবি, বাজি নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু বারবার কেন গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই বিপর্যয় ঘটছে, প্রশ্ন যোগীরাজ্যে।