এবার প্রথম মহিলারাই বাজি বাজার পরিচালনা করবে রাজ্যে, শুক্রেই পুলিশ-ব্যবসায়ী বৈঠক
প্রতিদিন | ১০ অক্টোবর ২০২৫
অর্ণব আইচ: এবারই প্রথম রাজ্যে বসতে চলেছে সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত বাজির বাজার, এমনই দাবি বাজি ব্যবসায়ীদের সংগঠনের। শুক্রবারই কলকাতার বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। সবুজ বাজি ছাড়া যাতে অন্য কোনও আতশবাজি বিক্রি করা না হয়, তা ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেবেন পুলিশকর্তারা। বাজির ব্যবসায়ীরাও তাঁদের কিছু সমস্যার বিষয় পুলিশকর্তাদের জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবারই লালবাজারের কর্তাদের মহিলা পরিচালিত বাজির বাজারের বিষয়টি জানিয়ে তাঁদের চিঠিও দেবেন বাজি ব্যবসায়ীরা। এই ব্যাপারে সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানান, এই বছর কালীপুজো ও দীপাবলির আগে বাজির ব্যবসায়ে নামবেন বাড়ির মেয়ে-বউরাও। মহিলারাই এবার একেবারে আলাদা একটি বাজির বাজার পরিচালনা করবেন। উত্তর কলকাতার বাগবাজার সর্বজনীনের মাঠে এই মহিলা পরিচালিত বাজির বাজার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কালীপুজো ও দীপাবলির কয়েকদিন আগে থেকে বিকেল চারটে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এই বাজারে কেনাকাটার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি দোকানে নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে বাজি বিক্রি করবেন বাড়ির মেয়ে ও গৃহবধূরা। সম্পূর্ণ আইন মেনে ওই বাজার থেকে শুধু সবুজ আতশবাজি বিক্রি করা হবে। এছাড়াও দোকান ও বাজার তৈরির ক্ষেত্রে যাতে অগ্নিসুরক্ষার প্রত্যেকটি নিয়ম মানা হয়, সেদিকে নজর থাকছে তাঁদের। এই বিষয়গুলিও পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হবে, যাতে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী ও মহিলা পুলিশকর্মী বাগবাজারে মহিলা পরিচালিত ওই বাজির বাজারে মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়াও শহরে ময়দান ও অন্যান্য ডিভিশনে বাজির বাজার সম্পর্কেও শুক্রবার আলোচনা হতে পারে। পুলিশের পক্ষেও বাজির ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু নির্দেশিকা দিতে পারে পুলিশ। এদিকে, সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানান, এই বছর তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানাবেন, যাতে ১২৫ ডেসিবলের মধ্যে চকোলেট বোমা ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কারণ, এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও এখন ১২৫ ডেসিবেল প্রযোজ্য। এ ছাড়াও সব ক্ষেত্রে বাজির প্যাকেটের উপর থাকা ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা নিরি-র কিউআর কোড যাচাই করা সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে যেন প্রত্যেকটি সবুজ বাজির বাক্সের উপর নিরি-র লোগো থাকে। সেগুলি দেখেই যেন বাজি বিক্রেতারা সবুজ বাজি চিহ্নিত করতে পারেন। শুক্রবার বাজি বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হবে, যেন গোডাউন ও বাজারে বাজি সরবরাহ করার সময় গাড়ির চালকের কাছে বৈধ বিল থাকলে যেন সেই বাজি আটকানো না হয়। পুলিশ যেন সেই বাজি বাজেয়াপ্ত না করে।