• গন্ডারের তাণ্ডবে ভয়ে কাঁটা পুন্ডিবাড়ি, কাবু হলো ঘুমপাড়ানি গুলিতে
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • প্রবল বৃষ্টিতে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গ। প্রভাব পড়েছিল একাধিক বন্যপ্রাণীর উপরে। জলের তোড়ে আসা একটি গন্ডারই রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ির কাছে। শুক্রবার ভোরে মন্দিরে যাওয়ার সময়ে গন্ডারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন দু’জন। ঘটনাটি ঘটে সুভাষপল্লি এলাকায়। আহতদের নাম দিলীপ দাস (৬৫) এবং বিভা কর (৮৫)। এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় গন্ডারকে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁরা দু’জনে মন্দিরে যাচ্ছিলেন কীর্তন করতে। সেই সময়ে তাঁদের উপর হামলা করে গন্ডারটি। তাঁরা জখম হয়ে রাস্তার ধারের গর্তে পড়ে যান। জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা এবং হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ এবং বনদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছিলেন না ওই গন্ডারের ভয়ে। এর পরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে বনদপ্তর।

    এ দিকে গন্ডারটিকে কাবু করার জন্য ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বনদপ্তরের কর্মীরা। তা গায়ে লাগার পরে নিস্তেজ হয়ে যায় গন্ডারটি। তাকে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আর্থ মুভার। বনকর্মীরা গন্ডারটির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছেন। সে সুস্থ রয়েছে জেনে বনকর্মীরা তাকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন।

    সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একাধিক বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢোকে। বনকর্মীদের একাংশের দাবি, নিরাপদ জায়গা ছেড়ে অচেনা জায়গায় চলে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীরা অনেক সময় ভয় পেয়ে হামলা করে। এ ক্ষেত্রেও তেমন হতে পারে।

    অন্যদিকে, শুক্রবার সকালেই জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্যখট্টিমারি গ্রামে জংলি শুয়োরের হামলায় চারজন গুরুতর আহত হন। তাঁরা হলেন সাবিত্রী রায় (৪০), জয়া রায় (৫০), হিরম্ব রায় (২৪) ও পদো রায় (৬০)। তাঁরা আপাতত ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা মাঠে কাজ করছিলেন জয়া রায়। সেই সময় হঠাৎই বন্যার জলে ভেসে আসা জংলি শুয়োর তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন হিরম্ব রায় ও পদো রায়। তাঁরাও শুয়োরের হামসায় জখম হন। এই ঘটনায় গ্রামে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডাউকিমারি ফাঁড়ির পুলিশ ও মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা।

  • Link to this news (এই সময়)