কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের পর এ বার অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নোটিস পেলেন নদিয়ার দুই বাসিন্দা। তাঁদের বাড়ি ধুবুলিয়ার শোনডাঙা গ্রামে। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাল্টা সরব বিজেপিও।
যাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাঁদের নাম সঞ্জু সাই শেখ এবং আসাদ আলি শেখ।সূত্রের খবর, আসাদ এবং সঞ্জু কয়েক বছর আগে ১৫ দিনের জন্য অসমে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই এই নোটিস জারি করা হয়েছে গত অগস্ট মাসে। সেখানে বৈধ নথি ছাড়া অসমে প্রবেশের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রথমে দু’জনেই এই চিঠির মর্ম উদ্ধার করতে পারেননি। তা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে যান তাঁরা। এর পরে অনেকে সেই চিঠি পড়েন এবং বুঝতে পারেন অসম সরকারের তরফে তাঁদের নোটিস ধরানো হয়েছে। এর পরেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
নোটিসের খবর পৌঁছয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কানে। প্রথমে পঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এর পরে এলাকার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন। মহুয়া এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার দুই বাসিন্দাকে বেআইনি ভাবে এনআরসি নোটিস ধরিয়েছে অসম সরকার। তাদের কোনও অধিকার নেই এই পদক্ষেপ করার। ভোটের আগে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এটা বিজেপির খেলা।’
পাল্টা সরব বিজেপিও। এ বিষয়ে নদিয়া উত্তরের বিজেপির প্রচার সচিব সন্দীপ মজুমদার পাল্টা বলেন, ‘এই চিঠিতে এনআরসি-র কোনও উল্লেখ নেই। তা রাজ্যের শাসক দলের সাজানো বিষয়ও হতে পারে।’
এ দিকে এই নোটিস পাওয়ার পরে আসাদের দাবি, তিনি ১৫ বছর আগে অসমে গিয়েছিলেন মার্বেলের কাজ করতে। আর সেই জন্য যে কোনও দিন তাঁকে নোটিস ধরানো হবে, তা ভাবতেও পারেননি। অন্যদিকে, সঞ্জুর দাবি, তাঁর গোটা পরিবার দীর্ঘদিন নদিয়ার বাসিন্দা। তার পরেও কেন নোটিসতাঁকে ধরানো হলো, সেই বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তিনি।